আবুল খায়ের, ইত্তেফাক :
দেশের ৬৪ জেলায় দ্বিতীয় ধাপের ৮৩৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে একটি মাত্র জেলার ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন কোন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। ভোট হয়েছে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
ওই জেলার এসপি ও ডিসি সমন্বয় করে সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা দলীয় পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন তাদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এখন সবার প্রশ্ন, একটি জেলার প্রশাসন সুষ্ঠু ভোট করতে পারলে অন্যরা পারে না কেন? প্রশাসন ইচ্ছা করলে অবশ্যই ভোট সুষ্ঠু করা সম্ভব-এটা ওই জেলার ভোটের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। ওই জেলার এসপি ও ডিসিরা যদি দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সময় বের করে দিতে পারেন, তাহলে অন্য জেলার এসপি-ডিসিরা কেন পারলেন না?- এমন প্রশ্নও জনমনে দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা যদি চান তাহলেও সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন সম্ভব।
হামলা
প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন সহিংসতায় ৪ জন মারা যান। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতায় ৭ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আগে-পরে সহিংসতায় মারা গেছেন ২৬ জন। সব মিলিয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩৭ জনের প্রাণ গেল। গতকাল নরসিংদীতে বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
ইউপি নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন ধরেই সংঘাতের বিস্তার ঘটছিল দেশে; এতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর হওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও প্রাণহানি ঠেকানো যায়নি। ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে সার্বিক তথ্য এলে এমন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে। নরসিংদীর রায়পুরায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজনের প্রাণ গেছে। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে আলাদা সংঘর্ষে মারা গেছে দুজন। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিহত হয়েছে একজন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-