উখিয়া-টেকনাফ ইউপি নির্বাচনে জয়ের জন্য মরিয়া তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা

 

বিডি প্রতিদিন :

কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে টেকনাফে ১২ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

১১ নভেম্বর নির্বাচনে জয়ী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। এদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই রয়েছে মাদকের মামলা। ইয়াবাসহ তাদের অনেকেই কয়েক দফা মাদকসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং পৃষ্টপোষক প্রার্থীদের টার্গেট যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে জয়ী হওয়া। কারণ এরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রশাসনের বাড়তি সুবিধা নিয়ে অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। আর তাদের নির্বাচনে দু-হাতে টাকা খরচ করছেন অন্যসব মাদক কারবারিরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দুই দিন আগেই আমি কক্সবাজার থেকে এসেছি। সেখানকার মানুষ খুবই শঙ্কিত। কেউ অন্যায় করলে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তার পৃষ্টপোষকতা দেওয়া হলে যা হয় তা-ই হচ্ছে সেখানে। জনকল্যাণের পরিবর্তে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের কল্যাণ করা হচ্ছে। অযোগ্যরা বড় বড় পদ পাচ্ছে। একটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, বেড়ায় যদি খেত খায় তাহলে আপনি কোথায় যাবেন? ভবিষ্যৎ কিন্তু খুবই ভয়াবহ। আসলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা খুব জরুরি হয়ে পড়ছে।’

জানা গেছে, আগামীকাল উখিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন। এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নের প্রার্থীদের মধ্যে ১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী, জালিয়াপালংয়ে তিনজন, রত্নাপালংয়ে চারজন, পালংখালীতে ৩০ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসার অভিযোগ। এদের মধ্যে অনেকেই মাদকসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন।

উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার এবং নির্বাচনে পুনরায় মেম্বার প্রার্থী আবদুর রহিম। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তের ডেইলপাড়া চাকবৈঠা সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারিদের একজন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমার প্রতিপক্ষ সাবেক মোরশেদ আলমের পরিবারেরর বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী। মোরশেদের ভাগ্নে সুজনও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।’

রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একচ্ছত্র অধিপতি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইয়াবার নিয়ন্ত্রক হিসেবে তার নাম রয়েছে সবার শীর্ষে। একসময়ের শীর্ষ গডফাদার ক্রসফায়ারে নিহত বখতিয়ার মেম্বারের ছেলে হেলাল উদ্দিন। অল্প সময়ে একজন কোটিপতি জনপ্রতিনিধি। তবে হেলালের দাবি, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগই মিথ্যা।

পালংখালী উখিয়ার একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা ইউনিয়ন। আবার এর পাশেই বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প। যেখানে অবস্থান বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে ইয়াবা কারবার, অস্ত্র বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। এখানে প্রধান ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইয়াবা। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইয়াবা কারবার করে পালংখালী ইউনিয়নের অনেকেই কোটিপতি, বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক। নিজেদের স্বার্থেই তারা রোহিঙ্গা অপরাধীদের পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছেন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মেম্বার পর্যন্ত ৯০ ভাগই ইয়াবার কারবারি এবং পৃষ্টপোষক বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমন তথ্য রয়েছে খোদ গোয়েন্দাদের কাছে। জানা গেছে, ইয়াবা কারবারের কাঁচা টাকা দুহাতে ওড়চ্ছেন প্রার্থীরা।

পালংখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ৪০০-এর সামান্য বেশি ভোট পেলেই মেম্বার হওয়া যায়। এ ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থী নুরুল আবছার চৌধুরী প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, একটি ভোট ১০ হাজার টাকা করে কিনবেন। তিনি কিছুদিন আগে র‌্যাবের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদারদের একজন আবছার মেম্বার। তার নেতৃত্বে চলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইয়াবা বাণিজ্য।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা টার্গেট করে এমন গুজব ছড়াচ্ছেন। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা এ ষড়যন্ত্র করছেন। একই অবস্থা পালংখালী ইউনিয়েনের ২ নম্বর ওয়ার্ডেও। এই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী এলাকার শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার বখতিয়ারের ভাই জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন একটি ভোট ১০ হাজার টাকা করে কেনার।

২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ফজলুল কাদের ভুট্টো পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সাবেক এমপির একজন বিশ্বস্ত এজেন্ট এবং তার বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে তার বিশাল এক সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর কবির ইয়াবার গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মাদক ৯টি, অস্ত্র একটি, মানব পাচার একটি, সব মিলিয়ে ১৮টি মামলা রয়েছে।’

পালংখালী ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার বখতিয়ার আহামেদ ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে পলাতক। তবে তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার পদে নির্বাচন করছেন। তিনিও কয়েক দফা মাদক মামলায় জেল খেটেছেন। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

পালংখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন। তিনি এক সময়ের পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। আনোয়ারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মদদদাতার অভিযোগ রয়েছে।

তবে তা অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অবশ্যই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ওয়ার্ডে আমরা চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এর মধ্যে বর্তমান মেম্বার নুরুল আলম মাদক মামলায় জেল খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাও রয়েছে। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল আলম চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন।’

পালংখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার পদপ্রার্থী কামাল উদ্দিন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী কামাল উদ্দিন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার কামাল পাশা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদে লড়ছেন। তিনি বর্তমান মেম্বার। রাজাপালং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা এবং পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। সরওয়ার কামাল পাশাকে কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি প্রতিবার ফোন কেটে দেন।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসা ও পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কয়েক দফা ফোন দেওয়া হলে তিনি লাইন কেটে দেন।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগের নেতা আলী আহমদ। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।

তবে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি, পক্ষে-বিপক্ষে অনেক লোকজন আছে। এরা কী বলল, না বলল তাতে কিছু যায়-আসে না। এসব প্রতিপক্ষের বানানো বক্তব্য।’ পালংখালীতে চেয়ারমান পদে লড়ছেন জেলা যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন জুয়েল। নৌকা প্রতীকের জন্য চেষ্টা করেছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিথুন। তবে না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। তাদের দুজনই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মকবুল হোসেন মিথুন বলেন, ‘নির্মাণাধীন বাড়িটি আমার বাবার টাকায় করা হচ্ছে। স্থানীয় এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান এবং বর্তমান এমপির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে অনেক আগ থেকেই। তারা চায় না তাদের প্রতিপক্ষ কেউ উঠে আসুক।’ টেকনাফে ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ১৮ জন শীর্ষ ও চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় পৌরসভাসহ আরও দুটি ইউনিয়নের নির্বাচন এখনো বাকি রয়েছে। এসব নির্বাচনেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে আগেভাগে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন ইয়াবা কারবারিরা।

অনুসন্ধান এবং একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি ও তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্ষমতার প্রভাব টিকিয়ে রাখতে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ভোটারদের মাঝে ছড়িয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এ উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া চারটি ইউনিয়নের মধ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আত্মসমর্পণকারী শীর্ষ ইয়াবা কারবারি বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিহাদ। সাবরাং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও মাদক মামলার আসামি নুর হোসেন।

অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফ সদরে জিয়াউর রহমানকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে ভূমিকা রেখেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রতাপশালী নেতারাও। তার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সৈয়দ ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া। তবে নৌকার প্রার্থী আবু সৈয়দ অভিযোগ করেছেন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা নির্বাচনে তাকে অসহযোগিতা করেছেন।

এ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ছাড়াও অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধেও মাদকের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াসহ তার পরিবারের চারজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। তিনি দীর্ঘদিন ইয়াবা মামলায় জেল খেটেছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সৈয়দের বিরুদ্ধেও ইয়াবা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এলাকায় বড় মাপের ইয়াবা কারবারি হিসেবে পরিচিত।

সদর ইউনিয়নে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত ইউপি সদস্য এনামুল হক আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা সিন্ডিকেটে নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত রশিদ আহমদ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ সৈয়দুল ইসলামও চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি।

এ বিষয়ে রশিদ আহমদ বলেন, আমি তো এগুলোতে জড়িত নই। এসব সাপোর্টও করি না। সবই অপপ্রচার।

সাবরাং ইউনিয়ন থেকে পুনরায় মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন আত্মসমর্পণকারী দুই ইয়াবা কারবারি। তারা হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শামসুল আলম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রেজাউল করিম রেজু। এ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ শরীফের বিরুদ্ধে এলাকায় ইয়াবা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত আবদুল মান্নানও একজন বড় মাপের ইয়াবা কারবারি। অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহম্মদ শরীফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আরেকজন বলইে কি হবে? এমন ফালতু কথা আমার বিরুদ্ধে বললে হবে না।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত শাহজালাল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত বাদশাহ মিয়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ আলম এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা তিনজন প্রত্যেকে এলাকায় একাধিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ ইউনিয়নে আরও কয়েকজন ইয়াবা কারবারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে গেছেন।

হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুনরায় নির্বাচিত জামাল হোসেন মেম্বার ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত নুরুল হুদা আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি ছিলেন। এলাকায় তারা এখনো ইয়াবা কারবারে সক্রিয় রয়েছেন। এ ছাড়া এ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত আনোয়ার ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হোসেন আহমদ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ আলী তিনজনই চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি।

আরও খবর