উখিয়ায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া :

১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্ববাচন। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় প্রশাসন এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কমিশন মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। আমি সকলকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আহবান জানাই।

রাজাপালং ইউনিয়নের ভোটার নুরুল কবির মাহমুদ বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকায় ভোটাররা আশান্নিত হয়েছেন। অনেক দিন পর সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার যে প্রত্যাশা তা যেন ম্লান হতে না হয়। রাজাপালং ইউনিয়নে এবার নৌকা ও ঘোড়া প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

যেই বিজয়ী হোক না কেন খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে বলে তিনি মনে করছেন।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের ভোটার মাজেদা আক্তার বলেন, আমরা মহিলারা যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারি সেদিকে প্রশাসনের নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন নৌকা প্রতীকের সাথে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বিমুখী নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে এখানে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান আবার নির্বাচিত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ভোটার ছৈয়দ আলম বলেন, ঘোড়া ও নৌকা প্রতীকের ভাগাভাগিতে চশমা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী অমায়িক ও শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় এই মুহুর্তে তিনি অনেকটায় এগিয়ে। আমিন মেম্বারও কম না। তাই এখানে হিসাব করে কথা বলতে হয়। কঠিন সমিকরণ চলছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।

রত্নাপালং ইউনিয়নের ভোটার নুরুল আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের নুরুল কবির চৌধুরী একজন অমায়িক ও শান্তিপ্রিয় পরীক্ষিত মানুষ। তার সাথে নৌকা প্রতীকের নুরুল হুদার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে ঘোড়া প্রতীকের নুরুল কবির চৌধুরীর বিজয় সুনিশ্চিত বলে তিনি মনে করেন।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর বিতর্কিত আচরণে ভোটাররা এবার ভেবে চিন্তে ভোট দেবেন।

আরেক ভোটার শফিউল্লাহ শাহীন বলেন, নৌকা প্রতীকের সাথে এতদিন যারা রয়েছেন তারা যদি বেঈমানি না করেন তাহলে নুরুল হুদা নৌকা প্রতীকের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

পালংখালী ইউনিয়নের ভোটার মোহাম্মদ আবদুল গফুর বলেন, এখানে নৌকা প্রতীকের মন্জুর আলম ছাড়াও আওয়ামীলীগের আরও একাধিক প্রার্থী থাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের গফুর উদ্দিন চৌধুরী রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।

আবারও গফুর উদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান হবেন বলে তিনি মনে করছেন। প্রত্যেক প্রার্থী তাদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তবে শেষ হাসিটা কে কে হাসবেন তার জন্যে আর মাত্র একদিন অপেক্ষা করতে হবে।

সুশাসনের জন্যে নাগরিক সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে যে উৎসাহের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন কোন অদৃশ্যের ইশারায় শেষ হয়ে না যায়েএবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনের সতর্ক অবস্থান দেখতে পাচ্ছি। এটি নির্বাচন নির্বাচন পরবর্তী সময়েও যেন অক্ষুন্ন থাকে।

আরও খবর