কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
নতুন করে আর কোন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে না বাংলাদেশ। সরকারের এ অবস্থানের কথা জলবায়ু সম্মেলনে স্পষ্ট করেছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জানান, দূষণ কমাতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চালুর পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করছে সরকার।
উৎপাদনে এসেছে কয়লা নির্ভর পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেষের পথে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ। এদিকে কক্সবাজারের দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অবশ্য পরিকল্পনায় থাকা দশটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। এর ফলে দশ থেকে বারো বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ চলে গেছে বাংলাদেশ থেকে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, পরিবেশ রক্ষায় কয়লা বিদ্যুতের ব্যবহার আর নয়।
জলবায়ু সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে সরব ছিল অনেক দেশ। বাংলাদেশ বলছে, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকায় পরিবহনে তা ই হবে আগামীর জ্বালানি।
গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৬ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এ মুহুর্তে বলতে পারি যে, নতুন করে কয়লা নির্ভর বিদ্যুতের ব্যবহার আমরা আর করবো না। আমরা বিকল্প খুঁজছি, আমরা চিন্তা করছি নেপাল-ভুটান থেকে ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আনার, যদিও সেটি অনেক ব্যয়বহুল এক্ষেত্রে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট দরকার।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, ইভি (ইলেক্ট্রনিক ভেহিক্যাল) এখনই চালু করা উচিত। বিআরটিএ এর উচিত ইভি’র রেজিস্ট্রেশন কেমন বা কিরকম হবে তা ঠিক করে ফেলা। সারাবিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানীর দিকে অগ্রসর হয়েছে ইতোমধ্যেই। আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে তেলচালিত কার ম্যানুফ্যাকচারিংও তারা বন্ধ করে দেবে। আমরাও যদি ওদের অনুসরণ করি তাহলে আমরা অন্তত দেড় বিলিয়ন ডলার খরচ কমাতে পারবো, তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো!
সৌর বা বায়ু থেকে নয়, পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ পেতে আমদানি করা জলবিদ্যুতের দিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-