বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের উখিয়ায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে নির্বাচনি সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর টাঙানো নৌকা প্রতীক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরুল কায়েসের সমর্থক জয়নাব বেগম লিপির ছেলে মো. ইউছুপের বিরুদ্ধে। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর ও নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গভীররাতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মরিচ্যার জামতলী এলাকায় ও নৌকা প্রতীকের অফিসের সামনে টাঙানো ১২ টি প্রতীক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ও কিছু প্রতীক ব্রিজের নিচে এবং বিলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিমল বড়ুয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক কে ভালোবেসে নির্বাচনে ৩০টি নৌকা টাঙানো হয়েছে। যা রাত ২টা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে রাখা হয়। হঠাৎ গতরাতে দুষ্কৃতকারী এসে নৌকা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সকালে এলাকায় সবাইকে জানালে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী জয়নাব বেগম লিপির ছেলে মো.ইউছুপ এসে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার ব্যানার ছাড়া অন্য কিছু লাগানো যাবেনা বলে ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি সংখ্যালঘু হিসেবে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম এবং তার সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জনৈক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক নৌকা ভাংচুর ও ব্যানারে অগ্নি সংযোগ করেছে। তারা মোটেও এ কাজটা ঠিক করেনি। বিষয়টি তিনি জেলা নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নৌকার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থিত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে অনিয়ম চালাচ্ছে। কালো টাকা, বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ভোটাররা আজ ভীত সন্ত্রস্ত। গণসংযোগে বাধা, নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি, হুমকি, নির্বাচনী নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।
শাহ আলম আরও বলেন, ‘আমি হলদিয়াপালং ইউনিয়নবাসীর কাছে এর বিচার দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আগামি ১১ নভেম্বর নৌকার বিজয়ের মাধ্যমে জনগণ এর উচিত জবাব দেবে।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের হলদিয়ার জামতলী এলাকার নির্বাচনী প্রতীক ভাংচুরের ঘটনা পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ নিয়ে সাধারণ ভোটারের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় সংঘর্ষ বাধবে বলে মন্তব্য করেন তারা। তাই নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২রা নভেম্বর মঙ্গলবার রাতেও ধুরুমখালী আলী পাড়া এলাকায় নৌকা প্রতিক ভেঙ্গে ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া এবং পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-