উখিয়ায় আলোচিত ফোর মার্ডারে নুরুল কবির চৌধুরীর হাত রয়েছে- খায়রুল আলম চৌধুরী

বিশেষ প্রতিবেদক •

রত্নাপালং ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট কথা বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, তার এহেন অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। এবার নৌকার বিজয় হবে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায় সে। এলাকায় আমি শক্ত নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমার ইউনিয়নের খেটে-খাওয়া মানুষ আমাকে ভালবাসে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

উখিয়ার ২ নং রত্নাপালং ইউনিয়নবাসী অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। ২০১৬ সালের জুন মাসের ৪ তারিখের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। আর নুরুল কবির চৌধুরী ছিল বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। মূলত জোট সরকারের সাথে আতাত করে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলাসহ সমস্ত অপকর্মের সাথে তিনিই জড়িত ছিলেন।

সে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে সেদিন আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। সে নির্বাচনে তার সাথে আমার ভোটের ব্যবধান ছিল ১৭০০ ভোটের চেয়ে বেশি। আমি বিপুল ভোটে সেদিন তাকে পরাজিত করেছি। এর পরে তিনি আমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তিনটি মামলা করেছেন।

নুরুল কবির চৌধুরী নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবানে বেশির ভাগ সময় অবস্থান করেন। রোহিঙ্গাদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে।

এখন আমি মনে করি রত্নাপালং ইউনিয়নে যে ফোর মার্ডার হয়েছে তাতে তার হাত থাকতে পারে। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন ফোর মার্ডার হত্যাকান্ডে নুরুল কবির চৌধুরীর হাত থাকলে এতদিন একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেননি কেন? একে অপরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রাজনৈতিক বক্তব্য কিনা?

সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, তিনি আমাকে ঘায়েল করার জন্য এমনটি করতে পারেন এটা আমার মন্তব্য।

গত ৩০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় কোটবাজারে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে রত্নাপালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।

এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা বলেছেন, ১৯৯৮ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ আগস্ট উখিয়ায় কাঙ্গালী ভোজে বিষ প্রয়োগ করে কাঙ্গালী ভোজকে নষ্ট করতে যে হামলা চালিয়েছিল সেই মামলার আমি একমাত্র বাদী। বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী রত্নাপালং ইউনিয়নের উন্নয়ন ও নৌকা প্রতীককে নির্বাচিত করার জন্য নিজে প্রার্থী না হয়ে আমাকে সর্মথন দিয়ে যাচ্ছেন। তখনই তিনি হয়ে গেলেন অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী। এটি উখিয়াবাসী কেউ বিশ্বাস করবে না। বৌদ্ধ মন্দির হামলার সময়ে বর্তমান রত্নাপালং ইউনিয়নের স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী সেদিন মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাকে সবাই ভালভাবে চেনে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।

আমার প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী কিছু কিছু ঘটনা ঘটাচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে। যেটা আপনারা নিজেরাও টের পান। এ সময় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগেন নেতা আবুল মন্সুর চৌধুরী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর