অনলাইন ডেস্ক •
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে।
তবে, জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য, তারা হলো মাতব্বর। এরা একজন যদি আপত্তি করে সেখানে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারে না। তার ফলে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যা ঝুলেই আছে।’
রোববার জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের সহায়তায় ও ঢাকাবাসী সংগঠনের আয়োজনে দিবসটি উদযাপিত হয়।
জাতিসংঘের নিজের কোনো শক্তি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের নিজের কোনো শক্তি নাই, তার শক্তি হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া শক্তি- সে কারণে আমরা ঝুলে আছি।’ুুু
আগামীতে চীন রাশিয়া সদয় হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামীতে যারা ঝুলিয়ে রেখেছে, তারা আরও সদয় হবে, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীন। তারা সদয় হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমরা আশাবাদী যে, আমাদের এই সমস্যাও দূর হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ এখনও সার্বজনীন নয়। যদিও প্রত্যেকটি দেশ একটি ভোট দিতে পারে সাধারণ পরিষদে, কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি দেশই হলো মাতব্বর। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। জাতিসংঘকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এটাকে বিশ্ব নেতৃত্বের মুখপাত্র হওয়া উচিৎ, গুটিকয়েক দেশের মুখপাত্র হওয়া উচিত না।’
ফিলিস্তিনি এবং রোহিঙ্গা সমস্যা ঝুলে থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব শান্তিতে জাতিসংঘের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘হয়ত জাতিসংঘ সারাবিশ্বের সব যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি, কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হওয়ার পেছনে এর ভূমিকা রয়েছে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-