ডেস্ক রিপোর্ট •
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে রাত কাটাতে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন কামরুজ্জামান রুমি নামের এক সহকারী শিক্ষক।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার পিটিআই টেনিং সেন্টারের পাশে ভাড়ারবাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলশিক্ষক রুমি বর্তমানে শরীয়তপুর পিটিআই টেনিং সেন্টারে ডিপিএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অনৈতিক অবস্থায় ধরার পর পালং মডেল থানা পুলিশের হাতে ওই স্কুলশিক্ষককে তুলে দেন। পরে বিয়ের করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেলে পালং এলাকার কাজী অফিসে চার লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে পড়ান মোহাম্মদ আলী।
কাজী বলেন, ‘চার লাখ টাকা দেনমোহরে প্রথম স্ত্রীর সম্মত্তিতে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়েতে উভয় পক্ষ রাজি থাকায় আমি বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি।’
অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক কামরুজ্জামান রুমি ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষক হয়ে এ ধরনের অনৈতিক কাজ করা আমার ঠিক হয়নি। আমাদের দীর্ঘ ২২ বছরের প্রেম ছিল। তবে পরিবারিকভাবে বিয়ে করেছি বলে ওরে বিয়ে করতে পারিনি। এবার প্রথম স্ত্রীর সম্মত্তিতে বিয়ে করেছি।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দেওয়ায় পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে দুই পরিবার মীমাংসা হওয়ায় ও কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রথম স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শুনেছি তারা বিয়ে করে ফেলেছেন।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজন শিক্ষক সমাজের বিবেক। তাদের দ্বারা সমাজ অনেক কিছু শিখবে। তবে রুমি যে ধরনের কাজ করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-