বগুড়া :
প্রেমিকের সাথে বাকবিতণ্ডার জেরে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড (গ্যাস ট্যাবলেট) সেবন করে বগুড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদা আকতার আত্মহত্যা করেছেন।
নাহিদার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই তার প্রেমিক জাকারিয়া, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন জানান, কয়েক মাস আগে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার বাসিন্দা জাকারিয়ার (২৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাহিদা আকতারের। রোববার (১৭ অক্টোবর) জাকারিয়া বগুড়ায় আসেন নাহিদার সাথে দেখা করতে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা হলে নাহিদা সেখান থেকে রাগ করে বৃন্দাবনপাড়া এলাকায় তার ছাত্রীনিবাসে চলে যান। বিকেলে নিজের কক্ষে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার পর নাহিদা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহবাসিন্দারা জাকারিয়াকে মোবাইলে বিষয়টি জানান। পরে জাকারিয়া সেখান থেকে নিয়ে নাহিদাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সন্ধ্যার কিছু পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদা মারা যান। এই ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জাকারিয়া হাসপাতালটির চারতলার বারান্দা থেকে মাটিতে লাফ দেন। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এবং স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাতে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া জাকারিয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত শিক্ষার্থী নাহিদা আকতারের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামে। তিনি বগুড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজে ভর্তির পর শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার সানজিদা ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-