ডেস্ক রিপোর্ট •
পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যবর্তী নৌপথ দিয়ে দেশে আসছে ভয়ংকর মাদক আইস।
কখনো আচার, কাপড়ের প্যাকেট আবার কখনো চায়ের ফ্লেভারের প্যাকেটে। টেকনাফে আইসের চালান কয়েক স্থানে মজুদ রাখা হয়। এরপর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে নেওয়া হয়। আইসের কোনো চালান যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জব্দও হলে কোনো ধরনের পেমেন্ট নেয় না মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা।
যাত্রাবাড়ী থেকে অবৈধ মাদক আইসের সবচেয়ে বড় ৫ কেজির চালান এবং বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ টেকনাফ কেন্দ্রিক আইস সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা মো. হোছেন ওরফে খোকন ও সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
>> মিয়ানমার থেকে নৌপথে আসছে আইস
>> আচার, কাপড় ও চায়ের প্যাকেটে পাচার হচ্ছে আইস
>> নিজস্ব পরিবহনে চট্টগ্রাম-ঢাকায় পৌঁছে চালান
>> রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুরে রয়েছে ডিলার
>> অভিজাত শ্রেণির কাছে আকাশচুম্বী চাহিদা থাকায় আইসে ঝুঁকছে মাদক কারবারিরা
>> এক গ্রাম আইস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ হাজারে
>> জব্দ হলে টাকা নেয় না মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা
>> জব্দ ৫ কেজি আইসের দাম প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা
র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে শনিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানের সময় জব্দ হওয়া আইসের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, তিনটি মিয়ানমারের সিমকার্ড এবং মাদক কারবারিতে ব্যবহৃত ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩ মে র্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। শুরু হয় র্যাবের ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ অভিযাত্রা। সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ কেন্দ্রিক কয়েকটি মাদক চক্র বেশ কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য আইস নিয়ে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-