হিন্দুস্থান টাইমস •
বলিউডের চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই ঘটনা। দীর্ঘ দুই দশক ধরে পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করার অভিযোগ। এতদিন ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি কেউ। ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এমন ঘটনা নির্মম ঘটনা ঘটেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৪৮ বছর বয়সী ঘাতক লীলু ত্য়াগী। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা তার।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ইতিমধ্যে সে নিজেও সুপার কিলারদের দিয়ে তার ভাই, দুই সৎ মেয়ে ও তার ভাইয়ের বাচ্চাদের খুন করেছে।
গাজিয়াবাদ (রুরাল) পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা বলেন,এতদিন ত্যাগী পরিবার বুঝতেই পারেনি যে লীলু এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জেনেছে, মূলত সম্পত্তির লোভেই সে একের পর এক পরিবারের সদস্যকে খুন করত। তার ছেলে বিভোর যাতে গোটা সম্পত্তিটাই পায় সেকারনে যাবতীয় উত্তরাধিকারদের একে একে সরিয়ে ফেলার ছক কষেছিল সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাই সুধীরকে প্রথম টার্গেট করেছিল লীলু। ২০০০ সালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় সুধীর। এরপর সুধীরের বউ অনিতাকে বিয়ে করে লীলু।
সুধীরের দুই মেয়েকেও সে নিজের কাছে রাখত। পুলিশি জেরায় লীলু স্বীকার করেছে, দেশি পিস্তল দিয়ে সুধীরকে সে খুন করেছিল। এরপর সুধীরের সম্পত্তির পাশাপাশি তার বউকেও সে পেয়ে যায়। কিন্তু সম্পত্তির উত্তরাধিকার তো সুধীরের দুই মেয়ে। ২০০৩ সালে সুধীরের বড় মেয়ে পায়েলকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে লীলু। সেই সময় লীলু জানিয়েছিল পোকার কামড়ে মারা গিয়েছে পায়েল।
এরপর পায়েলের দিদি পারুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে লীলু। এলাকায় রটিয়ে দেয় অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে পারুল। স্থানীয় খালে সে পারুলের দেহ ফেলে দেয়। এরপর ত্যাগীর ১৪ বছরের সন্তান নীশুকেও ভাড়াটে খুনী দিয়ে খুন করে খালে ফেলে দেয় লীলু। তখন অবশ্য থানায় এফআইআর করেছিলেন ত্যাগী। এরপর ত্যাগীর বড় ছেলে রীশুকেও খুন করে লীলু। তবে এরপর থেকে লীলুর উপর সন্দেহ হতে থাকে পরিবারের সদস্যদের। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে লীলুকে। গ্রেফতার করার সময় লীলু শুধু একটি কথাই বলেছিল, আমি খুব দুঃখিত।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-