ইমরান আল মাহমুদ •
উখিয়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। সুপারির ভালো দাম পেয়ে সুপারির বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কক্সবাজারের দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে বাড়িতে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান। সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত-শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।
উপজেলার সোনারপাড়া বাজার,কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার,উখিয়া সদর,কুতুপালং সহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে।জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে, এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজারে দেখা যায়,স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকূলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে,উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান,এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান,মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। যা চাষিদের আরও উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-