আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় শাহিনের আঘাতে ওমানে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টিতে রাস্তা প্লাবিত হয়ে পড়ে। উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় অনেককেই। এছাড়া রাজধানী মাস্কাট অভিমূখী কিংবা ছেড়ে যাওয়া বহু ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
ওমানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আল বাতিনাহ এলাকা। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় প্রায় ২০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে স্থলভাগে প্রবেশের পর দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় শাহিন।
ওমানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ে প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার পানির তোড়ে এক শিশু ভেসে গেলে পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও এক জন। এছাড়া একটি শিল্প এলাকায় আবাসিক ভবনের ওপর পাহাড় ধসে পড়েন দুই এশীয় কর্মী নিহত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের চোখ যখন স্থলভাগ অতিক্রম করে তখন এর বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় দশ মিটার উঁচু ঢেউ তৈরি হয়।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তায় গাড়ি ডুবে গেছে আর তারপরও তার ভেতর দিয়েই চলাচলের চেষ্টা করছে মানুষ।
ওমানের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি কমিটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে আল-কুরম এলাকায় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। এছাড়া প্রায় দুই হাজার সাতশ’ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-