আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাড়ির দেয়ালে লুকানো ছিল হাড়ের টুকরা। হঠাৎ তা বেরিয়ে পড়ায় আতঙ্কে পুলিশে খবর দিলেন এক ব্যক্তি। সামাজিকমাধ্যমে হাড়ের ছবি তুলে বেশ কয়েকটি ভিডিও দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অবশ্য জানা গেলো যা ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন, বিষয়টি তা নয়। কাউকে খুন করে তার বাড়ির দেওয়ালে পুঁতে দেওয়া হয়নি।
জবাবে সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই তাকে জানান, মানুষ না হলেও হাড়টির আকার আকৃতি যে রহস্যজনক সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কেউ কেউ বলেন হাড়টি গবাদিপশুরও হতে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিররের খবরে জানা যায়, টিকটকার ওই ব্যক্তির নাম ফ্রান্সিস সাকি র্যাভেন। তার ওই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি বারিতে থাকতে সাহস পাচ্ছেন না।
শনিবার (২ অক্টোবর) হাতে আসে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট। জানা যায়, ওই হাড় মানুষের না। আসলে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাটা ভেড়ার মাংসের টুকরা। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে এখন মাংস নাই শুধু হাড়গোড় পড়ে আছে।
বাড়ির দেওয়ালে শিরদাঁড়ার মতো দেখতে বেশ বড় আকারের একটি হাড় খুঁজে পান ওই ব্যক্তি। টিকটকে সেই হাড়টির ছবি দিয়ে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, এই হাড় কি মানুষের?
পোষা প্রাণীদের মৃত্যুর পর তাদের দেহ বাড়ির দেয়ালে গেঁথে দেওয়ার রীতি ছিল এক সময়। সেই প্রথার কথাও জানান কেউ কেউ। যদিও বাড়ির মালিক এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি। পুলিশ ডেকে তিনি হাড়টিকে পরীক্ষা করতে বলেন।
বাড়ির মালিক অবশ্য এই রিপোর্টেও সন্তুষ্ট হননি। নতুন এক আতঙ্কের কথা জানিয়ে আবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তিনি বলেন, তবে কি বাড়িতে কেউ লুকিয়ে আছে! যে সবার অজান্তে মাংস খেয়ে তারপর হাড়গোড় দেওয়ালে লুকিয়ে রাখছে?
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তার বাড়ি সম্পূর্ণ নিরাপদ, সেখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি লুকিয়ে নেই।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-