বিশেষ প্রতিবেদক •
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর মুখপাত্র মৌলভী সোয়েব দাবি করেছেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরসা কোনোভাবে জড়িত নয়। মিয়ানমার সরকারের এজেন্টরাই মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত।’
হত্যাকাণ্ডের পর মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ এ ঘটনায় আরসার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে অডিও বার্তা প্রচার করে আরসা।
মৌলভী সোয়েব বলেন, ‘আমাদের ভাই মাস্টার মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার বিচার নিয়ে কাজ করছিলেন। পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার প্রচেষ্টা ছিল অসাধারণ। এমন একজন রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা রোহিঙ্গা জাতির জন্য বড় ক্ষতি।’ তিনি বলেন, এর আগেও মে মাসের ১৫ তারিখে আরেক রোহিঙ্গা নেতা শওকত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ দুই নেতার হত্যা নিয়ে আরসা অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যথিত।
আরসা কমান্ডার ইন চিফ আবু আম্মার জুনুনীর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দাবি করেন মৌলভী সোয়েব। তিনি মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তার এই অডিও বার্তা ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। আরসার পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপও প্রচার করা হয়েছে। তাতে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ কয়েকজনের বক্তব্য রয়েছে।
আত্মগোপনে অনেক নেতা: একজন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) বলেন, ‘একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে আমরা জিম্মি। প্রতিনিয়ত হুমকি দেয় সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তাদের দিতে। এভাবে আর কতদিন সম্ভব? ভয়ে আতঙ্কে ক্যাম্প ছেড়েছি।’
মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর অনেক মাঝি আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে তিনি জানান। আবদুর রশিদ নামে আরেক রোহিঙ্গা নেতা জানান, ক্যাম্পে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অত্যন্ত তৎপর। তারা নানাভাবে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে। মাদক ব্যবসায় জড়িত হতে বাধ্য করে। আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় তারা রোহিঙ্গা নেতাদের হত্যা করছে।
উখিয়া ক্যাম্পের নেত্রী জামালিদা বেগম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যারা রোহিঙ্গা অধিকার নিয়ে কাজ করেন, তারা সবাই আতঙ্কের মধ্য রয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-