নিজস্ব প্রতিবেদক •
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ বুধবার শেষ হয়েছে। এদিন আরও দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন ১৮ ও ১৯তম সাক্ষী সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান ও টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার গৃহবধূ বেবী ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
এনিয়ে মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা আগামী ১০-১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এদিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ফরিদুল আদালতকে জানান, ওসি প্রদীপ অনেক নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে অর্থ আদায় ও ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেছেন। তার এসব অপকর্মের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। ঢাকা থেকে ধরে এনে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। মিথ্যা মামলায় আসামি করে তাকে জেলে পাঠানো হয়। ওসি প্রদীপের এসব অপকর্মের বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেজর সিনহা। কিন্তু এর আগেই পরিকল্পিতভাবে সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে।
গৃহবধূ বেবী ইসলাম বলেন, ওসি প্রদীপ তার নিরপরাধ স্বামীকে ধরে এনে হত্যা করেছেন। ক্রসফায়ারে না দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে অর্থও আদায় করা হয়েছে। এরপরও তার স্বামীকে বাঁচতে দেননি ওসি প্রদীপ।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, সাক্ষীরা যথারীতি আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসামি পক্ষের দীর্ঘ জেরার কারণে সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নির্ধারিত দিনে সম্ভব হচ্ছে না। সাক্ষ্য গ্রহণকালে বুধবারও মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-