এসএম আব্বাস,বাংলা ট্রিবিউন:
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি শুরু করতে আগামী অক্টোবরে পাইলটিং শুরু করা হচ্ছে। পাইলটিং শেষ হলেই অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। সারা বছর ধরেই চলবে বদলি কার্যক্রম।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছিল না। বিদ্যালয় পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরে একটি উপজেলায় পাইলটিং শুরু হবে। পাইলটিং শেষ হলে পর্যায়ক্রমে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি শুরু হবে।
অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (আইএমডি)। শিক্ষকদের ভোগান্তি লাঘবে এই সেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বদলি কার্যক্রমের জন্য পাইলটিং শুরু হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চলবে। পাইলটিংয়ের এলাকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনলাইনে বদলির পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শিক্ষক বদলির বিদ্যমান পদ্ধতির ধাপগুলো বিশ্লেষণ করে সেবা দিতে বাস্তব সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা, পশ্চাৎগতি এবং পদ্ধতিগত শূন্যতা নির্ণয় করা করা হয়। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে ওটিপি অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস)-এ প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন
সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাকিং নম্বর সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড রিসিপ্ট পাবেন এবং মোবাইলে নোটিফিকেশন পাবেন। তাছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যেকোনও সময় নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রসর হতে থাকবে এবং কোনও ধাপে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণের সুযোগ থাকবে না।
শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি আগে থেকেই ডাটাবেইজে সংরক্ষণ থাকায় শুধুমাত্র বদলির ক্ষেত্র অন্তঃউপজেলা, আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ এবং অন্তঃসিটি করপোরেশন এবং কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করা যাবে। মাসিক রিটার্ন, চাকরি বইয়ের ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে। বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলীর আলোকে এমনভাবে সফটওয়্যারে সবকিছু সেট করা হয়েছে যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্তপূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে পারবে না। শূন্যপদের সকল তথ্য ডাটাবেজে থাকায় শিক্ষকরা আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সকল শূন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে। ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে। এতে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে অন্যদিকে অযাচিত তদবির ও চাপ কমে যাবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-