নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ •
টেকনাফে সদর ইউনিয়নের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনা ঘটেছে।
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সাবেক মেম্বার সোলতান আহমদ ও শ্যালক রেজাউল করিম বাবুলসহ পাচঁটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানাযায়, নির্বাচিত মেম্বার প্রার্থী এনামুল হক ও তার বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় তৈরী বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র হাতে নিয়ে সংঘটিত ঘটনায় অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এনামুল হক ও তার বাহিনীর লোকজন দা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত প্রার্থী আলী আহমদের আপন ভাই সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সাবেক মেম্বার
সোলতান আহমদ ও তার স্যালক রেজাউল করিম বাবুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়। এসময় হামলাকারীরা বাড়ি থেকে স্বর্ণ, টাকা ও টিভিসহ প্রয়োজনী বিভিন্ন কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া এনামুল হক বাহিনীর লোকজন তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থক একই এলাকার প্রবাসী আবদুল আমিন, মুক্তার হাজি, মৌলভী আলী হোসেনের বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে বাড়িতে থাকা লোকজনকে ব্যাপক মারধর করেন। এই
হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এছাড়া সন্ধার পরে টেকনাফ সদরের বড় হাবিরপাড়া ও মৌলভী পাড়া এলাকার সৈয়দুর রহমান, ফজল আহমদ, মো. ফয়সাল, ফজল করিম
ওরফে ভুট্রান, মো.শাহেদ ও আবদুর গফুর টেকনাফ থেকে এলাকায় আসার পথে ব্যাপক হামলা চালায় এবং টমটম ভাংচুর করেন। এই হামলায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সোলতান আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এনাম মেম্বার ও তার বাহিনীর লোকজন আমার বাড়ী ভাংচুর এবং পরিবারের লোকজনকে হামলা করে গুরুত্বর আহত করা হয়। তাছাড়া বাড়ীর পাশ্বে আরো ৪ থেকে ৫টি বাড়িতেও হামলা
ও ভাংচুর চালায়। এতে বাড়িতে থাকা লোকজনকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। বর্তমানে আমি ও পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি। আমি নাজির পাড়া বাড়ীতে যেতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পরাজিত প্রার্থী আলী আহমদ জানান, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আমার
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এনামুল হক জয় লাভ করেছে। কিন্ত জয়লাভ করে এনামুল ও তার বাহিনী প্রতিদিন আমার পক্ষের লোকজনকে হামলা করে যাচ্ছে।
এমনকি গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাই সোলতান আহাম্মদ ও আশ্বপাশ্বের ৪/৫টি বাড়ী ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকালে আবারো ঐসব বাড়ীতে হামলার চেষ্টা করা হলে তা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এতে থানা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম রাফীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ভাংচুরকৃত বাড়ী ঘর পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসআই রফিকুল ইসলাম রাফী।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, অত্র উপজেলার ৪টি ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ট,নিরপেক্ষ ভাবে শেষ করার জন্য অন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের পুলিশ সদস্যরা অগ্রনি ভুমিকা পালন করেছে। নির্বাচন সম্পন্ন করে সেই সফলতা আমরা পেয়েছি।
অথচ জয়ী এবং পরাজিত চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীদের কিছু অসাধু কর্মি-সমর্থকরা নিজেরদের মধ্যে পুর্ব-শত্রুতার স্বার্থ হাসিল করার জন্য নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, অত্র উপজেলার আইন-শৃংখলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সংহিসতার জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-