বাংলা ট্রিবিউন:
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ১০০ টাকার জিনিস যদি কেউ ৫০ টাকায় দিতে চায়, সেটা কীভাবে সম্ভব ? মানুষ লোভ সামলাতে না পেরে ফাঁদে পা দিয়েছে, তাদের লোভ সংবরণ করা উচিত। আমাদের কাজ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা। কিন্তু কেউ যদি মানুষকে লোভ দেখায় সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে না।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৪ জুনের আগে ছয় হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এখন বাকি চার মাসে ৬০০ কোটি টাকা স্ক্রো ফান্ডে জমা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১২ টাকার জিনিস ১ টাকায় দেওয়া যায় না। এ ধরনের বড় কোম্পানিকে এখন থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার তো টাকা নেয়নি। যে লোকটা পাঁচটা মোটরসাইকেল কিনে লাভ করেছে, সেই লাভের ভাগীদার তো সরকার হয়নি। তাদের (ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান) কতটুকু সম্পদ আছে, সেটা দেখতে হবে।’
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে কয়েকটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করা ঠিক হবে না। কিছু সুপারিশ এসেছে, সেগুলো হলো ই-কমার্স ব্যবস্থাপনার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি কমিটি করতে হবে। ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে।
সচিব আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যে অপরাধ করেছে, প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য আইনে কিছুটা সংশোধনী আনতে হবে। আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে, নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না বলেও জানান সচিব।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-