মাদকের চেয়ে ভয়ংকর নকল ওষুধ, যাচ্ছে গ্রামেও

ঢাকাপোষ্ট •

বেসরকারি একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ফারুক হোসেন। থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকে ভোগা এ ব্যাংকার শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে এক মাস গ্যাসের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন তিনি। তবে মাস পার হলেও গ্যাসের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের চিকিৎসক নতুন ফার্মেসি থেকে অন্য গ্যাসের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। পরের ১৫ দিন যেতেই সুফল পান ফারুক।

ফারুক হোসেনের দাবি, মোহাম্মদপুরের যে ফার্মেসি থেকে তিনি নিয়মিত ওষুধ কেনেন, তারা হয়তো নকল ওষুধ দিয়েছিল, অথবা ওষুধের মেয়াদ টেম্পারিং করা হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি অন্য গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ায় সুফল পান।

খোদ রাজধানীর চিত্র যদি এমন হয়, তাহলে গ্রামের অবস্থা কেমন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকল ওষুধের সরবরাহ এখন গ্রামাঞ্চলে বেশি। নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওষুধগুলো এভাবে নকল করা হয় যে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও প্রস্তুতকারক ছাড়া কারও চেনার উপায় থাকে না। কম দামে কিনে অসাধু কিছু ফার্মেসির মালিক বিক্রি করছেন এসব ওষুধ।

অসাধু ফার্মেসির মালিক ও নকল ওষুধ তৈরির চক্রের খপ্পরে পড়ে দেশের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী একটি চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, সক্ষমতা অনুযায়ী চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধের জোগান দিচ্ছে প্রস্তুতকারক দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা, জাপানসহ বিশ্বের ১৫৬টি দেশে রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি ২০১৮ সালে ‘মেডিসিন প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ পদকে ভূষিত হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে, এত সক্ষমতা অর্জন সত্ত্বেও বাজারে কেন ছড়াচ্ছে নকল ওষুধ, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরও।

প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সমন্বয় করে অভিযান চালাচ্ছে। অধিদফতরও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তবে, জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট কম থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় নকল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। পরে প্রতিষ্ঠিত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব কারখানায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের পর ভেজাল ওষুধ তৈরির কার্যক্রম কিছুটা কমলেও নিয়মিত নজরদারি না থাকায় ফের তা শুরু হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ভেজাল ওষুধ কারবারি চক্রের প্রধান টার্গেট ঢাকা। রাজধানীর মিটফোর্ড ও এর আশপাশের এলাকায় তারা কারখানা গড়ে তোলে। পরবর্তীতে চাহিদা বাড়তে থাকায় কুমিল্লা ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে ওঠে কারখানা। এসব কারখানার তৈরি নকল ওষুধ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।

যেভাবে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে নকল ওষুধ

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নকল ওষুধ প্রস্তুতকারক চক্রটি বাজারে কোন ধরনের ওষুধের ব্যবহার বেশি তা আগে রেকি করে জানার চেষ্টা করে। পরে সেগুলো হুবহু তৈরি করে। বাজারজাতের জন্য প্যাকেটের সিকিউরিটি হলোগ্রামও নকল করে তারা।

চক্রটি পরে বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ও নিজেদের কর্মীদের দিয়ে ফার্মেসির মালিকদের সঙ্গে কম দামে সরবরাহের মৌখিক চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী নকল ওষুধের চালান ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামাঞ্চলের ফার্মেসিগুলোতে।

গ্রেফতার হওয়া এ চক্রের একাধিক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ওষুধের ধরন ও প্যাকেটজাতের প্রক্রিয়া ছাড়া আসলের সঙ্গে নকল ওষুধের উপাদানগত কোনো মিল নেই। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো যেসব নীতিমালা ও প্রক্রিয়া মেনে ওষুধ তৈরি করে, তারা এর কিছুই মানে না। তাদের নেই কোনো কেমিস্ট বা ফার্মাসিস্ট।

নকল ওষুধের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, চক্রটি সারাদেশে নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল টার্গেট করে বহুল বিক্রিত ওষুধগুলো নকল করে তারা বাজারজাত করছে। আসল ওষুধের প্রকৃত দামের তুলনায় অনেক কমে নকল ওষুধগুলো বিক্রি হচ্ছে। লাভ বেশি হওয়ায় তা সংগ্রহ করছেন ফার্মেসির মালিকরা। এগুলো মাদকের চেয়েও ভয়ঙ্কর। মানুষ অসুস্থ হয়ে ওষুধ খায়। নকল ওষুধ খেয়ে মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

কী করছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর

দেশে ওষুধের মান নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি কাজ করার কথা সেটি হলো ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। সংস্থাটির কাজ ওষুধের মানদণ্ড ঠিক রাখা। পাশাপাশি নাগরিকদের হাতে যেন সঠিক ওষুধ পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করা।

কিন্তু দেশে নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসার বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বলে দাবি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর। জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বেলাল উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, নকল ওষুধের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে। বাজারে যাতে নকল ওষুধ সয়লাব না হয়, সেটি দেখার কথা তাদের। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দেশের প্রতিটি ছোট-বড় ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়মিত পরিদর্শন দরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তাদের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।

আর্থিক ক্ষতির মুখে নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো

রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, একমি কোম্পানির মোনাস-১০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৬ টাকা। স্কয়ার কোম্পানির সেকলোর প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৬ টাকা। ডিবির তথ্য অনুযায়ী, নকল মোনাস-১০ এর প্রতি ট্যাবলেট দুই থেকে তিন টাকা এবং সেকলোর প্রতি ট্যাবলেট দুই টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় এসব নকল ওষুধের বিক্রিও বেশি।

এ বিষয়ে জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বেলাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবধরনের নিয়মনীতি ও মানদণ্ড নিশ্চিত করে আমরা ওষুধ প্রস্তুত করি। অন্যদিকে, যারা নকল ওষুধ প্রস্তুত করছে তারা কেবল রঙ ও ভেজাল উপাদান ব্যবহার করছে। নামমাত্র মূল্যে তা বাজারজাত করছে। দাম কম হওয়ায় তাদের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। আসল ওষুধগুলো বাজারে পড়ে থাকছে। ফলে প্রস্তুতকারকদের লোকসান হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

যে ক্ষতি করছে নকল ওষুধ

নকলকে আসল ভেবে যারা নিয়মিত এসব ওষুধ সেবন করছেন তারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। স্বল্প মেয়াদি ক্ষতিসহ দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, নকল ওষুধ সেবনের ফলে অনেকের দেহে আসল ওষুধ কাজ না করার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জয় চৌধুরী বলেন, নকল ওষুধ সেবনের ফলে হার্ট, কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এসব ভেজাল ওষুধ। এছাড়া নকল অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে পরবর্তীতে আসল অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা মানব শরীরে আর থাকছে না। ফলে ভুক্তভোগীকে দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে ঔষধ আদালতে মামলা হয়েছে ১২টি। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬টি, মোবাইল কোর্টে হয়েছে ১২৫৮টি মামলা। জরিমানা করা হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে ঔষধ আদালতে মামলা হয় সাতটি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫৩টি, মোবাইল কোর্টে ২০২১টি। জরিমানা করা হয় ছয় কোটি ৫১ লাখ ২৮ হাজার ৯৩৯ টাকা। ২০১৯-২০ সালে ঔষধ আদালতে মামলা হয় দুটি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪১টি, মোবাইল কোর্টে ১৯৬৪টি। জরিমানা করা হয় ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৮ টাকা।

২০২০-২১ সালে ঔষধ আদালতে মামলা হয় ১৩টি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯২টি, মোবাইল কোর্টে ১৭১৫টি। জরিমানা করা হয় সাত কোটি ৫৮ লাখ ১০০ টাকা। এসব অভিযানে মাঠপর্যায়ে নাপা, সেকলো, মোনাস, প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ নকল অথবা নকল মোড়কে ভেজাল ওষুধ বিক্রির তথ্য উঠে আসে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. আইয়ুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্যাকিং যেখানে হয় সেখানেই ঢুকে যাচ্ছে নকল ওষুধ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র অ্যাকশন নিচ্ছি। তবে এসব বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নকল ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পেলে আমরা স্যাম্পল কালেকশন করি, ল্যাবে পরীক্ষা করি। পরবর্তীতে নিশ্চিত হয়ে নকল ওষুধ প্রস্তুত, বিপণন ও জড়িত ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

অধিদফতরের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কিছু কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬০টি মডেল ফার্মেসি চালুর অনুমোদন দিয়েছি। ১৪ হাজার ৬৬৩টি মডেল মেডিসিন শপের অনুমোদন দিয়েছি। এছাড়া, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় ১১টি ফার্মেসি সিলগালা করেছি, ১৭১৫টিকে জরিমানা করেছি। ভেজাল বা নকল ওষুধ বিক্রি বা বাজারজাত করায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা হয়েছে ৯২টি।

আইয়ুব হোসেন বলেন, খোদ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের রয়েছে অনেক সীমাবদ্ধতা। সীমিত জনবল, লজিস্টিক সাপোর্ট কম থাকায় চাইলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা গ্রামের সর্বত্র আমাদের নজরদারি নয়। ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের জনবল মাত্র ৭২০ জন। নতুন করে মোট ১৭০৭ জনবল চেয়ে একটি প্রস্তাবনার খসড়া তৈরি করেছি। সেটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণন গণহত্যার মতো অপরাধ। না জেনে-বুঝে নকল ওষুধ খেয়ে অনেক ভোক্তা মারা যাচ্ছেন। কিন্তু তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান-কর্মকর্তারা, ওষুধ ব্যবসায়ী বা ফার্মেসির মালিকরা জানেন, নকল ওষুধ কোথায় তৈরি হয়, কোথা থেকে আসে, কীভাবে বিপণন হয়। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। ঢাকার নকল ওষুধের হাব হচ্ছে মিটফোর্ড। এটা সবাই জানেন। সেখান থেকেই নকল ওষুধ বিপণন হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কঠোর পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এই অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এগুলো বন্ধ হবে না।

নকল ওষুধ চেনার উপায়

>> ওষুধের প্যাকেটের গায়ে যে সিল থাকে সেটি ভালো করে দেখুন। কোথাও কোনো গলদ আছে কি না, লেবেল একই আছে কি না— ভালোভাবে দেখা।

>> আগে যদি আপনি একই ওষুধ কিনে থাকেন তাহলে পরের বার কেনার সময় আগের প্যাকেটের সঙ্গে প্যাকেজিং, অক্ষরের ফন্ট, বানান, রঙ— এগুলো মিলিয়ে দেখা।

>> ওষুধ খাবার আগে খেয়াল করুন এর রঙ, আকার, গঠন ঠিক আছে কি না। কোথাও কোনো ভাঙা অংশ রয়েছে কি না। গুঁড়া ওষুধের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে দেওয়া আছে কি না— এসব ভালো করে দেখা।

>> ওষুধ যদি ক্রিস্টালের মতো হয় তাহলে যথেষ্ট শক্ত কিংবা অতিরিক্ত নরম কি না— ভালোভাবে দেখা। ওষুধের ভেতরে কোথাও ফোলা বা দাগ আছে কি না, তাও দেখা।

>> কখনও নির্দিষ্ট দামের চেয়ে কম দামে ওষুধ না কেনা।

আরও খবর