কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের মরদেহ, পুলিশ হেফাজতে চারজন

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মেহের ফারাবি অভ্র (২৪)। গ্রামের বাড়ির যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। বাবার নাম ইবনে মিজান।

আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অভ্রর লাশ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে তার বন্ধু রাফিক ঐশিকের লাশ সমুদ্র সৈকতের সি-গার্ল পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

সাত বন্ধু মিলে যশোর থেকে দু-তিন দিন আগে কক্সবাজার বেড়াতে আসে। তারা শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিচ হলিডে হোটেলে ওঠে। এরপর সকলে বেরিয়ে পড়ে। যার মধ্যে দুই বন্ধু নিখোঁজ হয়। যাদের লাশ উদ্ধার হয়েছে। অন্য পাঁচজন রাতে হোটেলে ফিরে এসে সেখানে অবস্থান করে। তবে দুই বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তারা পুলিশকে রিপোর্ট করেনি।

এ ঘটনায় পুলিশ আজ শনিবার চারজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। অন্য বন্ধু আলিফ (২৪) পলাতক রয়েছেন। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশি হেফাজতের নেওয়ার বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।

থানা হেফাজতে থাকা চারজন হলেন— রোহান, মাসুদ, মুহিবুল ও ফারদিন। পলাতক আলিফ যশোরের নিজামপুর এলাকার মুবিন উদ্দিনের ছেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, সাতজন যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। তারা শহরের বিচ হলিডে হোটেলে ওঠে।

তাদের মধ‌্যে থেকে দুইজন নিঁখোজ হয়। পরে যাদের লাশ উদ্ধার করা হয। এ ঘটনায় তাদের সঙ্গে থাকা চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন আলিফ (২৪) পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজছে। চার বন্ধুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি পালিয়ে যান।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আরও খবর