বাংলা ট্রিবিউন:
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে আমদানি করা এক কোটি ১৩ লাখ শলাকার বিদেশি সিগারেটের চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষায় কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণা দিয়ে আনা দুটি কন্টেইনার খুলে বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক আমদানি মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টমস হাউজের এআইআর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড কেমিক্যাল ফাইবার লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণায় বন্ড সুবিধার আওতায় দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর চীনের সাংহাই বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট-আলমগীর অ্যান্ড সন্স বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। আজ পরীক্ষায় কন্টেইনার দুটি থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৫৬৫টি কার্টনের প্রতিটিতে সিগারেটের দুটি ইনার কার্টন রয়েছে।
কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম চৌধুরী আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনা হয়েছে এমন গোপন সংবাদ থাকায় চালানটি লক করা হয়। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি, বন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্য ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পণ্য চালানটির শতভাগ পরীক্ষায় দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি সিগারেটের পরিবর্তে বিদেশি সিগারেট নিয়ে এসেছে। কন্টেইনার দুটি খুলে তাতে এক কোটি ১৩ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক আমদানি মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, চালানটির মাধ্যমে আমদানিকারক ২৭ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশনার স্যার এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-