ডেস্ক রিপোর্ট •
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রায় ২০ জন নেতাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন এসব নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে একথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভা শেষে গণভবনের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাবনায় গত পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই বিদ্রোহ করেছিলেন, পৌর এবং সদর এলাকার নেতারা। তারা ক্ষমা চেয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন; প্রায় ২০ জন নেতা। তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আবার উনি (শেখ হাসিনা) এটাও বলেছেন, যারা দলের ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) বাইরে কাজ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না।
এদিকে, মাদারীপুরের রাজনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় চার নেতার মধ্যে ‘হালকা বাগবিতণ্ডা’র ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। বৈঠক সূত্র ইত্তেফাককে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকায় দলীয় প্রোগ্রাম হয়, কিন্তু আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয় না। অথচ আমি ঐ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা।’ এর জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বাধ্য হয়েই আমি সেখানে প্রোগ্রাম করি। দলীয় ত্যাগী নেতারা মারা গেলে স্মরণ সভা করা হয় না। পুরনো ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয় না।’ এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে (শাজাহান খান) তো জাসদে ছিল। আমি চেয়েছিলাম জাসদে থেকে আমার সঙ্গে কাজ করুক। তোমরাই তো তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসেছ। বৈঠকে সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরার সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ থানা কমিটিগুলো দিয়েছে। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য (ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ) বিকল্প আরেকটি কমিটি সেখানে দিয়েছে। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি সেখানে কোনো কমিটি দেননি। প্রায় এক বছর পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় ৫০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখানে কোনো কথা হয়নি। সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আলাপ-আলোচনা করে একটা কাঠামো তৈরি করেছে নোয়াখালীর কমিটি নিয়ে। এ ব্যাপারে নেত্রীও অবহিত আছেন। স্বপন এখন দেশের বাইরে আছে। ফিরে এলে প্রকাশ করা হবে।’ মির্জা আবদুল কাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন, সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আপনি অব্যাহতি চেয়েছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-