ওমর ফারুক সোহাগ •
আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সমুদ্র ছুঁয়ে আন্তর্জাতিক মানের দেশে দীর্ঘতম রানওয়ে বিমানবন্দর কক্সবাজার ৷
কক্সবাজারে রানওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১০ হাজার ৭০০ ফুট৷ ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১০ হাজার ৫০০ ফুট। যার তুলনায় দেশের মধ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরে হবে সবচেয়ে দীর্ঘতম রানওয়ে।
বিমানবন্দরটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে এর রানওয়ে। অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের কাতারে নাম লেখাতে যাওয়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র-ছুঁয়ে। পৃথিবীর উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর। এটি হবে বৃহত্তম এশিয়ার যেগাযোগের নতুন ব্যবস্থা৷
আগামীকাল রবিবার (২৯ আগস্ট) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মত সফল বাস্তবায়নে বিমান বন্দরটি ৯ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ৭শ’ ফুটে রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করবেন৷
শুক্রবার ২৭ আগস্ট বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি সরজমিনে বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান৷
তিনি আরো জানান, দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের সমুদ্র ছুঁয়ে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে। যার খরচ হিসেব করা হয়েছে ১৫শ’ ৬৯ কোটি টাকা। আর বিমানবন্দর রানওয়ের এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন৷
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে দৃশ্যমান করতে কাজ শুরু হচ্ছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে কক্সবাজার বিমান বন্দরের ৯ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ হবে। আর এই ১৭০০ ফিট হবে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলের ওপরে। যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯শ’ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা বিশ্ববাসীর কাছে নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করবে এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটবে। বিশ্বের উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর কাতারে নাম লিখিয়ে দেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন এবং এভিয়েশন সেক্টরে রিজিওনাল হাব হিসেবে গড়ে তোলাই সরকারের পরিকল্পনা।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এবার এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-