ছাত্রদল নেতা এখন ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক: ভ্রূক্ষেপহীন জেলা ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক •

নুরুল মোস্তফা ও ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের অনুমোদিত দুই কমিটি( লাল চিহ্নিত) টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের চার মাস গত হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কোন অভাস নেই।

বিএনপি পরিবারের থেকে উঠে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়গা করে নেয়া। নূরুল মোস্তফার কর্মকান্ডে বিপাকে তৃনমূলের নেতা কর্মীরা।

উপজেলা ও তৃনমূলের নেতা কর্মীদের সাথে সমন্বয় না করে গোটা কমিটিকে পাশ কেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকলেও আজো পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দিন দিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয়হীনতার কারনে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে, হাইব্রীড নেতারা উড়ে এসে দলের নেতৃত্বে জুড়ে বসার কারণে সংগঠনটি চরম সংকটের মুখে পড়েছে বলে মনে করেন উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। চলমান এই সংকট অব্যাহত থাকলে তার দায়ভার জেলা ছাত্রলীগকে বহন করতে হবে বলে দাবী সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। সম্মেলনের দেড় মাস পর গত ২৩ মে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্নাকে সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নূরুল মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে একটি কমিটি ঘোষনা করে জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু কমিটি অনুমোদন দেয়ার পরেই ছাত্রদল নেতা নূরুল মোস্তফাকে নিয়ে বিতর্ক বাঁধে এবং অনুপ্রবেশকারী বলে দাবী উঠে।

শুরু হয় নূরুল মোস্তফার পরিচিতির অনুসন্ধান। এক পর্যায়ে অনুসন্ধানে উঠে আসে সে একজন জামায়াত বিএনপি পরিবারের সন্তান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা। তার আপন ভাই ও অনেক নিকট আত্মীয় উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি এবং জামায়াতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে।

এসব তথ্য বেড়িয়ে আসার পর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের হাত ধরে দলে অনুপ্রবেশর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পর মারুফের চাপের মূখে অনেকে চুপসে যায় বলে জানাগেছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিকাংশ নেতা কর্মীরা বলেন, নূরুল মোস্তফার বিরুদ্ধে কিছু বল্লে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফের তুপের মুখে পড়তে হয়। সে কারনে অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে চাননা, কারণ মারুফের হাত ধরেই সে উপজেলা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের তৃনমূল নেতা কর্মীদের দাবী, কমিটি অনুমোদনের চার মাস গত হয়ে গেলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কোন তৎপরতা নেই। আজকের দিন পর্যন্ত সভাপতি-সম্পাদক একটি বর্ধিত সভা পর্যন্ত করতে পারেনি। তা ছাড়া মূল দলের সাথে ছাত্রলীগের যৌথ কর্মসূচী গুলোতে সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত না থেকে, অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সাথে কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে।

আরও খবর