ফারুক আহমদ, উখিয়া •
উখিয়ার ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তারিক আজিজ।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের তৈলী পাড়া (সর্দার পাড়া) গ্রামের বাদশা মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (নাম প্রকাশ করা হলো না) একই এলাকার চিহ্নিত বখাটে যুবক রশিদ আহমদের ছেলে দুলাল উত্যক্ত সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সাড়া না দেয়ায় তাকে ধর্ষণ সহ নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয়।
এলাকাবাসীরা জানান, মা নুর নাহার বেগম চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ সুযোগে গত ১৪ আগষ্ট বখাটে যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী কন্যা। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত।
স্কুলছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মা নুর নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসার জন্য আমরা চট্টগ্রামে ছিলাম। কেবল বাড়িতে ছিল কিশোরী মেয়ে ও পুত্র বধু। মা আরও বলেন পাশ্ববর্তী বখাটে যুবক দুলাল রাতে বাড়িতে ডুকে আমার মেয়েকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে ভোর সকালে বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে পালিয়ে যায় ।
এদিকে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বললে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পিতা মাতা বাড়িতে আসেন।
গত ১৬ আগষ্ট মা নুর নাহার বাদী হয়ে আবদুর রশিদের পুত্র দুলাল কে প্রধান আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নম্বর ৫২ তারিখ ১৬/৮/২০২১। ধারা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর অপহরণ করিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ।
ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ , দুলাল একজন দুধর্ষ সন্ত্রাসী । ১০ বছর পূর্বে হলদিয়া পালংয়ে একটি গণধর্ষন মামলারও আসামি । সন্ত্রাসী দুলাল ও তার ভাই আবদুর রহিম মামলা তুলে নিতে আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এলাকাবাসীরা আরও জানান, আবদুর রহিম তার দোকানে মদ, গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-