ওমর ফারুক সোহাগ •
কক্সবাজারে পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে দিন তারিখ পেছনে থাকলেও তবে এরইমধ্যে দিনদিন দেখা যাচ্ছে দর্শনার্থীর ভীড়।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। আর এ সৈকতে সারা বিশ্ব থেকে প্রতিবছরই লক্ষ লক্ষ পর্যটকরা ভ্রমণ করতে আসে।
আগামী ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তার আগেই কক্সবাজারে ভীড় করেছে হাজারো পর্যটক। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না পর্যটকরা।
স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিলেও নানা অজুহাতে নামছেন পযর্টকরা। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা করে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
যদিও ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নজরদারি রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো সৈকতের ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ সম্ভব নয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ও সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। চলতি বছরের ১ এপ্রিলের পর থেকে সংক্রমণরোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নামতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। একইভাবে সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের মুখে মাস্ক না থাকলে, বিধিনিষেধ না মানলে কক্সবাজারে করোনার অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে বলে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর হতে হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সুগন্ধা পয়েন্টে প্রচুর পর্যটকের ভীড় দেখা গেছে। অন্যদিকে কক্সবাজার ডলফিন মোড় থেকে গাড়িযোগে ঢাকা ও অন্য স্থান থেকে অনেক পর্যটকরা আসতে দেখা গেছে। যার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের আসা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সামনে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় ৪ মাস পর আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হবে। এবং গত ১০ আগস্ট থেকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা রয়েছে। তাই করোনারা সংক্রমণ কমাতে প্রশাসনকে কঠোর হতে স্থানীয়রা জোর দাবী জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-