মাহাবুবুর রহমান •
কক্সবাজারের বাকঁখালী নদীতে হচ্ছে আরো একটি নতুন রাবার ড্যাম। ইতোমধ্যে রাবার ড্যাম নির্মাণের স্থান এবং উপযোগিতা যাচাই বাছাই করেছে এডিবি এবং এলজিইডির উচ্চ পর্যায়ের টেকনিক্যাল কমিটি।
সে বিষয়ে ১২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপকার ভোগী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভাও করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের দিকে নতুন রাবার ড্যামের টেন্ডার হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার বাকঁখালী নদীতে ঝিলংজা এবং পিএমখালী ইউনিয়নের চান্দের পাড়া এবং ঘাটকুলিয়াপাড়া অংশে বর্তমানে যে রাবার ড্যাম আছে তা অনেক পুরানো হয়ে গেছে। প্রায় সময় তা বিকল হয়ে যায়। এছাড়া বাকঁখালী নদীর স্তর উপরে উঠে যাওয়াতে অনেক সময় রাবার ড্যাম ঠিকমত কাজও করেনা। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পানি পাচ্ছে না কৃষকরা। তাই নতুন একটি রাবার ড্যাম করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর অংশ হিসাবে ১২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার এলজিইডি মিলনায়তনে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে এডিবি কনসালটেন্ট হিসাবে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল হক সহ ঢাকা থেকে আসা উর্ধতন কর্মকর্তারা এবং কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বর ডিসেম্বর নাগাদ নতুন রাবার ড্যামের টেন্ডার হতে পারে। এছাড়া বর্তমান রাবার ড্যামের আশপাশেই নতুন রাবার ড্যামটি বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকা ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, বর্তমান রাবার ড্যামটির পরিবর্তে একটি নতুন রাবার ড্যাম বসানোর জন্য আমাদের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই দাবী বা স্বপ্ন পূরণ হতে পাচ্ছে।
ইতোমধ্যে উচ্চ পর্যাযের টিম নতুন রাবার ড্যাম বসানোর স্থান এবং উপযোগিতা দেখেছেন। আমি যতটুকু জানি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাবার ড্যাম হবে এবং বর্তমান রাবার ড্যামের প্রায় ১০০ ফুট দুরত্বে নতুন রাবার ড্যাম বসানো হবে। আমি মনে করি নতুন রাবার ড্যাম বসলে ঝিলংজা, পিএমখালী সহ রামু উপজেলার অন্তত ১ লাখ কৃষক উপকৃত হবে।
ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রহিম বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত রাবার ড্যাম নষ্ট হওয়ার কারণে আমাদের এলাকার অন্তত ১০ হাজার কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারেনি। ফলে অনেকের ঘরে হাহাকার চলছে।
আসলে পুরাতন রাবার ড্যামটি বেশির ভাগ সময় নষ্ট থাকে তাই নতুন রাবার ড্যাম হলে আমাদের কৃষক সহ স্থানীয় মানুষের জন্য অনেক উপকার হবে। তবে একটা বিষয় আমি অনুরোধ করবো, ঠিকাদার যেন কাজ সঠিক ভাবে করে, কোন অনিয়ম দূর্নীতি যেন না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃস্টি রাখতে হবে।
এ ব্যপারে কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তারি অংশ হিসাবে বাকঁখালী নদীতে নতুন রাবার ড্যাম বসানোর পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন বাস্তবায়ন বাকি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-