একদিনেই টিকা নিলেন উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ৭ হাজার রোহিঙ্গা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •


সারা দেশেের ন্যায় মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের জনগনকে কোভিভ(১৯) প্রতিষেধক মুলক ভ্যাকসিন টিকা গ্রহন করার কার্যক্রম শুরু করে। যা এখনো চলমান রয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বসবাসরত স্থানীয় জনগনকে গনটিকা প্রদান করার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরকে কোভিড (১৯) ভেকসিন টিকা গ্রহণ করার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানাযায়, ১০ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে টেকনাফ উপজেলায় গড়ে উঠা ৮টি রোহিঙ্গা শিবিরের সর্বমোট ৯০৬ জনকে টিকা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে ক্যাম্পে থাকা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ক্যাম্প সূত্রে আরো জানা যায়, দেশব্যাপী চলমান গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারী ভাবে সরবরাহকৃত টিকার মাধ্যমে টেকনাফে ৮টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।

হোয়াইক্যং ইউপির ক্যাম্প-২১ চাকমারকুল ক্যাম্প-২১’র ১১০ জন, উনচিপ্রাং ক্যাম্প-২২’র ৭১ জন, টেকনাফের উপকুলিয় ইউপি শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৩’র ১৯ জন, হ্নীলা ইউপির লেদা ক্যাম্প-২৪’র ১৮০ জন, আলীখালী ক্যাম্প-২৫’র ৫৭ জন,শালবাগান ক্যাম্প-২৬’র ৭৯ জন, জাদিমুরা ক্যাম্প-২৭’র ১০৫ জন ও নয়াপাড়া রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের ভিতরে অবস্থানরত দুটি হাসপাতালে ২৮৫ জন, সর্বমোট ৯০৬ জন রোহিঙ্গা নর-নারী টিকা গ্রহন করেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল জানান, টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগনের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা নর-নারীদেরকেও সরকার কোভিড(১৯) করোনা ভেকসিন টিকা প্রদান করার আওয়তাই নিয়ে এসেছে। অত্র উপজেলার করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সফলতা আনতে স্থানীয় জনগনের ন্যায় তাদেরকেও পর্যায় ক্রমে গণটিকা প্রদান করা হবে।

এদিকে ১০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে টেকনাফ উপজেলার ৮টি রোহিঙ্গা শিবিরের ন্যায় উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ২৬টি রোহিঙ্গা শিবির থেকে কোভিড(১৯) ভ্যাকসিন টিকা গ্রহন করেছে ৬৮৯৫ জন রোহিঙ্গা নর-নারী।

আরও খবর