রাজবংশী রায় •
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আজাহারুল হক। প্রথমে করোনাভাইরাসে এবং পরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্র ও মৃতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হঠাৎ করে জ্বর, গলা ব্যথা ও শরীরে যন্ত্রণা অনুভব করেন আজাহারুল। নমুনা পরীক্ষা করার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তার ডেঙ্গুও পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণও মেলে। এরপর ২৮ জুলাই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে পরদিন তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই শিক্ষকের মৃত্যু হয়। আজাহারুল হকের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক জানান, করোনা সংক্রমণে তার ফুসফুসের ৭৫ শতাংশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে মুখে রক্তক্ষরণের ঘটনাও ঘটে। শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর বিরল দৃষ্টান্ত এটি। তবে এটিই দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গু সন্দেহে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও সেগুলো পর্যালোচনা করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে একসঙ্গে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও।
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গুর বিস্তার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এ নিয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, একসঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণের ঘটনা অর্ধশতের কম নয়। রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, গত এক মাসে সরকারি হাসপাতাল ও তাদের প্রাইভেট চেম্বারে অন্তত পাঁচজন রোগী পেয়েছেন, যারা একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়েছেন।
একসঙ্গে দুটি রোগে সংক্রমিত হলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায় বলে মনে করেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফুসফুস বিকল করে দেওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অন্যদিকে ডেঙ্গুও রক্তে সমস্যা তৈরি করে। ডেঙ্গু গুরুতর হলে চোখের কোণ, দাঁতের মাড়ি ও নাক থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এতে রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। এ কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
সঠিক তথ্য মিলছে না : একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার কোনো তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা আইইডিসিআরের কাছে নেই। অভিযোগ পাওয়া গেছে, করোনার মতো ডেঙ্গু সংক্রমিত রোগীদেরও সঠিক তথ্য সরকারি পরিসংখ্যানে আসছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে যে পরিসংখ্যান পাঠানো হয়, তা বিশ্নেষণ করেও এ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ঈদের চার দিন আগে গত ১৭ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় নরসিংদীর গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারের ডেঙ্গু পজিটিভ শনাক্ত হয়। নরসিংদী একশ’ শয্যার জেলা হাসপাতাল থেকে ওই পরীক্ষা করানো হয়।
তিনি বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ঈদের দিন হঠাৎ তার নাক ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা ও জ্বর শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে করোনার নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
সুমাইয়ার এক স্বজন জানান, একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। বিশেষ করে নাক ও মুখে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পর সুমাইয়া এখন কিছুটা সুস্থ বলে জানান তিনি।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, নরসিংদী জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট শাখার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য তারা সংরক্ষণ করেন। আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের তালিকায় আনা হয় না।
একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার তথ্যও সংরক্ষণ করছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও (আইইডিসিআর) এ সংক্রান্ত তথ্য নেই। আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর সমকালকে বলেন, একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে দু-একটি এমন ঘটনার কথা তারা জানতে পেরেছেন।
করোনা ও ডেঙ্গুর যৌথ সংক্রমণ বিপজ্জনক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, একই ব্যক্তি করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে বিপজ্জনক হতে পারে। ডেঙ্গুর কারণে রক্তে প্লাটিলেটের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অধিক মাত্রায় কমে গেলে এবং করোনা সংক্রমণের কারণে রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯০-এর নিচে নেমে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বেন। আবার করোনাভাইরাসের কারণে ফুসফুস বেশি আক্রান্ত হলে এবং একই সঙ্গে হৃদযন্ত্রের আর্টারিও আক্রান্ত হলে রোগীকে বাঁচানো কষ্টকর হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সমকালকে বলেন, করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুতে একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন। দুটি রোগ একসঙ্গে হলে সেটি অন্য কিছুতে রূপ নেবে কিনা কিংবা শারীরিক কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। তবে জ্বর, মাথা ও গলা ব্যথাসহ উপসর্গগুলো দেখা দিলে একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্যাচুরেশন বারবার দেখতে হবে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০-এর নিচে নেমে গেলে দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা ও রক্তক্ষরণের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস মনোসাইট নামে রক্তের একটি সেলে বৃদ্ধি লাভ করে এবং করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে বৃদ্ধি লাভ করে। করোনাভাইরাস ফুসফুসের এপিথিলিয়াল সেলে প্রদাহ তৈরি করে। একই সঙ্গে শরীরের যেসব অংশে থাকা এই সেল রয়েছে, সেখানেও প্রদাহ তৈরি করে। সুতরাং দুটি ভাইরাস একসঙ্গে কারও দেহে সংক্রমিত হলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
লক্ষণ বুঝবেন যেভাবে : আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর সমকালকে বলেন, শুরুতে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর উপসর্গ প্রায় একই ধরনের। জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। তবে একপর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘ্রাণ ও স্বাদ চলে যায়, পাতলা পায়খানা, ফুসফুস আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্ট হয়।
অন্যদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে শুরুতে চোখের পেছনে ব্যথা, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। ডেঙ্গু গুরুতর হলে রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়া, চোখের কোণ, দাঁতের মাড়ি ও নাক থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। পেটের ভেতরে রক্তক্ষরণ হলে মল কালো হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে হঠাৎ মাসিক হতে পারে অথবা মাসিকের সময় বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে।
একই ব্যক্তি করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে উল্লেখ করে ডা. আলমগীর বলেন, দুটি রোগ পৃথক শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। কিন্তু একসঙ্গে দুটি রোগ হলে জটিলতা আরও বাড়বে। ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। প্রথম ধরনে আক্রান্ত হলে জ্বর থাকে। এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। পরবর্তী ধরনে আক্রান্ত হলে রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় ও রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ধরনগুলোর সঙ্গে করোনা সংক্রমিত হলে ভয়ের কারণ রয়েছে। করোনার কারণে ফুসফুস বেশি আক্রান্ত হলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। অন্যদিকে ডেঙ্গুও রক্তে সমস্যা তৈরি করে। একে ভাস্কুলাইটিস বলা হয়। এ কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
বাড়ছে আতঙ্ক : প্রাণঘাতী বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। এতে জনমণে আতঙ্ক বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ হাজার ৯০২ জন। একই সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১৮ জনের শরীরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০৮ জন ঢাকায় এবং ১০ জন ঢাকার বাইরের রোগী। বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ৪১ হাসপাতালে ১ হাজার ১২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ভর্তি আছেন।
আইইডিসিআরে ডেঙ্গু সন্দেহে গতকাল পর্যন্ত ১০টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও পর্যালোচনা শেষ করেনি। এ কারণে চলতি বছর এখন পর্যন্ত একজনেরও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে থাকা ডেঙ্গু আক্রান্তদের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৯০১ জন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮৩৬ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলেও গত জুলাই মাস থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে। গত জুলাই মাসে ২ হাজার ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি আগস্ট মাসের পাঁচ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৪৩ জন। সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ আরও বাড়বে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সমকালকে বলেন, ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে জুলাই মাসে রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতাল ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রায় সব হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত করা হয়েছে। একই হাসপাতালে দুই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হলে জটিলতা বাড়বে। ডেঙ্গু রোগী করোনায় আক্রান্ত এবং করোনা রোগীর ডেঙ্গু-আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
তিনি বলেন, একসঙ্গে দুটি ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হবে। এ কারণে দুই ধরনের রোগীর জন্য পৃথক ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হলে দুটি ভাইরাসের সংক্রমণই এড়িয়ে চলা সম্ভব।
সুতরাং সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক ব্যবহার করুন। আর ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাসাবাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন, মশারি টাঙানো ছাড়া ঘুমাবেন না। একই সঙ্গে এডিসের লার্ভা ধ্বংসের জন্য সিটি করপোরেশনের সংশ্নিষ্টদের সহায়তা করুন।/সমকাল
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-