গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী •
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে পাহাড়ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে,অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ২শতাধিক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহীর পাড়া এলাকায় গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার ভোররাতে পাহাড়ধসে বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে দেয়াল চাপা পড়ে নিহত হয়েছে আনছারুল করিমের মেয়ে মোরশেদা বেগম (১৭)।
২৮ জুলাই বুধবার সকালে হোয়ানক ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজুয়ার ঘোনায় পাহাড় ধসে নামাজ পড়া রত অবস্থায় আলী মিয়া নামের শতোর্ধ বয়সের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ।
গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল ২৮ জুলাই বিকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া শাপলাপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গতকাল ২৭ জুলাই দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজির পাড়া ও হরিয়ার ছড়া গ্রামে। দুটি গ্রামেই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক পাহাড়ি ঢলে ছড়ার বাঁধ ভেঙ্গে কালাগাজির পাড়া ও হরিয়ার ছড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
হরিয়ারছড়া এলাকায় উলাখালি, হরিনাদিয়া ও বড়ঘোনা নামক ৩টি চিংড়ি প্রজেক্টের স্লুুইস গেইট বন্ধ রেখে বন্যার পানি আটকে রাখায় দুই গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে আরো শতাধিক বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, সোমবার দিবাগত রাত থেকে মুষলধারে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হোয়ানক ও কালারমার ছড়া ইউনিয়নে বেশকিছু বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। মাননীয় সাংসদ সহ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করেছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-