উখিয়ায় লকডাউন আর টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন: বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

এম ফেরদৌস, উখিয়া •


সাগরে নিম্নচাপের কারণে গতকাল সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তীব্র বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে উখিয়ার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো। একদিকে করোনা সংক্রমণ অন্যদিকে ভারী বৃষ্টি বর্ষণ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। ঘরবন্দি অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

দেখা গেছে,উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বিভিন্ন নিচু এলাকা গুলো প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রবল বর্ষণে রাস্তাঘাট এমনকি বাড়িঘরে পানি ঢুকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নষ্ট হচ্ছে অনেক শস্যখেতগুলো। এই টানা বৃষ্টির কারণে উখিয়ার অনেক আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত।এতে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হচ্ছে। বৃষ্টির তীব্রতার কারণে সব কাজকর্ম থেমে গেছে।

ভালুকিয়ার কৃষি ব্যবসায়ি মাহমুদ মিয়া জানান, মাঠে উন্নত ফসল ফলন করে বাজারে খুচরা বিক্রিতে আমাদের সংসার চলে, কিন্তু করোনার কারণে আমাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। স্থানীয় বাজারে নির্ধারিত দামে চালসহ তরি তরকারী বিক্রি করতে পারি না। যখন বাহিরের কোন বড় বাজারে যায় তখন অনেকটা ন্যায্য মুল্য পাওয়া যায়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষনা করাতে আমরা আর বাহিরের বড় বাজারে যেতে পারছি না এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি আরোও বলেন, এদিকে করোনার থাবা, আবার শুরু হয়েছে টানা ভারী বর্ষণ এতে আমাদের ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধান রোপণ করেছি ৩ দিন আগে মনে হচ্ছে সব পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরটা ও বিলের সাথে পানি সমান তালে বিলিয়ে যাচ্ছে। ২০০০ হাজার মাছের পোনা দিছি ২ সাপ্তাহ আগে। সব মিলিয়ে আমরা মধ্যবিত্ত ব্যবসায়িরা ক্ষতিরসম্মুখীন হচ্ছি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। কুতুপালং , চৌধুরীপাড়া, কুমারাপাড়া,রুমকা বাজার এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গার নিম্নাঞ্চলগুলো ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে।

আরও খবর