নিজস্ব প্রতিবেদক •
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা পুর্ব পাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্ত্রীর মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে রেখে ঘাতক স্বামী জিয়াউর রহমান দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন নিহতের শ্বাশুড়ি ওই এলাকার মৃত এনায়েত উল্লাহর স্ত্রী রাজিয়া বেগম(৫৫) কে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
এ ঘটনার ফারজানা আকতার কলির স্বামী মামলার ১নং আসামী জিয়াউর রহমান কে হন্য হয়ে খুঁজছে থানা পুলিশ। তবে সে কৌশলে পালিয়ে রয়েছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে , গত ১৮জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ফরজানা আকতার কলি(২২) কে টয়লেটে দেখতে পান তার শ্বাশুড়ি।পরে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে এসে তার স্বামী তার মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা রাজিয়া বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে জানান, স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে আমার মেয়ে কলিকে মেরে ফেলেছে । আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
পুলিশ ও হাসপাতাল সুত্রে ধারণা, নিহত গৃহবধুর গলায় আঘাত চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটা আত্নহত্যা না, এটা পরিকল্পিত হত্যা।
ইতিমধ্যে চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নিহত কলি হত্যার বিচার চাই এমন অনেক ব্যানারের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গৃহবধু কলি নিহতের ঘটনায় তার মা রাজিয়া রেগম বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি ও স্বামীকে আসামী করে হত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের শ্বাশুড়ি রিজিয়া বেগমকে আটক করা হয়। নিহতের স্বামী মামলার ১নং আসামী জিয়াউর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে। আমরা শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
উল্লেখ্য,নিহত গৃহবধু কলির ঘটনায় নিহতের মা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি রাজিয়া বেগম ও তার ছেলে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং ৫১।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-