ইমাম খাইর •
কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে (৭ জুলাই) মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় ১৭২ জনকে মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মোট ৩০টি অভিযানে মামলা করা হয়েছে ১৬১ টি। তবে, এদিন কাউকে কারাদন্ড দেয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য মতে, দন্ডিত ব্যক্তির মধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ৫১ জন, সদর ৮ জন, চকরিয়ায় ৩৩ জন, পেকুয়ায় ১১ জন, কুতুবদিয়ায় ১০ জন, মহেশখালী ১৬ জন, রামু ১২ জন, উখিয়া ২২ জন ও টেকনাফ ৯ জন।
কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দপ্তর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনা বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার ব্যাটালিয়নসহ সরকারী অন্যান্য দপ্তরগুলো।
এদিকে, করোনাকালে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (৭ জুলাই) বিকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পরিহন শ্রমিক, বাহার ছড়া গোল চত্বর ও ঈদগাহ মাঠে সিএনজি চালক, বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বধির, লালদিঘি পাড় এবং পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে সেলুন কর্মচারীদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা শীল কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ডা. সুনীল কুমার সুশীল।
একইভাবে বিভিন্ন উপজেলাতেও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কেউ খাবার সংকটে থাকলে ‘৩৩৩’ হটলাইন নাম্বারে ফোন করলে খাবার পৌঁছিয়ে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
উল্লেখ্য, করোনা নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। তবু কমছে না করোনার শনাক্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। যে কারণে চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-