বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজার জেলায় দিন দিন বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। জেলায় সোমবার একদিনে ১০২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৪ জুলাই শনাক্ত হয়েছিল ১০৯ জন।
৫ জুলাই সোমবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সদর উপজেলা ও পৌরসভার ৪০ জন এবং ১৯ রোহিঙ্গাসহ ১০২ জন৷ আর নতুন করে মৃত্যূবরণ করেছে ১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৮২১ জনে এবং মৃত্যূবরণ করেছেন ১৩১ জন।
সর্বশেষ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগী হলেন সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের পিএমখালীর আশিউর রহমান(৯০)।গত ২৮ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর ৪ জুলাই মৃত্যূবরণ করেন।
৫ জুলাই সোমবার রাতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান,জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১০জন। তন্মধ্যে সদর উপজেলা ও পৌরসভার ৪০ জন,উখিয়া উপজেলায় ২০ জন,টেকনাফ উপজেলায় ১২ জন,চকরিয়া উপজেলায় ৫ জন,রামু উপজেলায় ১ জন,পেকুয়া উপজেলায় ৩ জন,মহেশখালি উপজেলায় ১ জন,কুতুবদিয়া উপজেলায় ১জন এবং ১৯ জন রোহিঙ্গা। নেগেটিভ ছিলেন ৬০২ জন ।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনাভাইরাসে ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।এছাড়া ৮৮ র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে সদরে ১৬ জন,উখিয়ায় ৩ জন,টেকনাফে ৩ জন,পেকুয়ায় ১ জন এবং চকরিয়ায় ১ জন পজিটিভ হয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৮২১ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৩ জন। নতুন করে ১ জনের মৃতূ্য হয়েছে। জেলায় করোনায় এখন পর্যন্ত মোট ২০ রোহিঙ্গাসহ ১৩১ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে সর্বাধিক কক্সবাজার পৌরসভা ও সদর উপজেলাতেই ৬৫ জনের মৃত্যূ হয়েছে। আক্রান্তের দিক দিয়েও এগিয়ে রয়েছে এই এলাকা।এছাড়া জেলায় করোনাক্রান্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৪ জন।এর মধ্যে উখিয়ায় ১৫৮৮ জন এবং টেকনাফে ৩০৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৭৭ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ২৫৭ জন।
এদিকে কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ১লা জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের পাশাপাশি করোনা রোগীরা যাতে সাধারণ মানুষের স্পর্শে আসতে না পারে ও মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় চলমান লকডাউনে জেলার সর্বত্র সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনগণ যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারে তাহলে করোনা সংক্রমণের হার কমে যাবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-