কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি •

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে শহরজুড়ে মাইকিং করাও অব্যাহত রেখেছে সদর উপজেলা প্রশাসন।

ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতেও বলা হচ্ছে নিয়মিত। এদিকে শহরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যে সতর্কমূলক ব্যানার ও লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে, মোহাজের পাড়া, ঘোনার পাড়া, ফাতেরঘোনা, বৈদ্যঘোনা, লাইটহাউস, বিজিবি ক্যাম্প এলাকা, লারপাড়া, ঝিলংজা, বাদশাঘোনা, পাহাড়তলী ও খাজামঞ্জিল পাহাড়ি এলাকা। আর এসব এলাকায় লাল পতাকা দিয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, কক্সবাজারের ৭টি ওয়ার্ডে পাহাড়ি এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে অনেকেই। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে সতর্কমূলক ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এমনকি ব্যানারে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রের ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে সহজেই নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে।

পরিবেশ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত ১২টি পাহাড়ে বসবাস করছে আড়াই লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৪০ হাজার। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, প্রতিবছর ভারী বর্ষণে শহরের ১০-১২টি পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে ভূমিধস হয়। পাহাড়ধসে নিহতের ঘটনাও ঘটে। চলমান ভারী বর্ষণেও একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু কেউ পাহাড় ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। গত ১০ বছরে একাধিক পাহাড়ধসের ঘটনায় ছয় সেনাসদস্যসহ শতাধিক মৃত্যু হয়েছিল।

আরও খবর