গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ী গুলিতে একই পরিবারের তিন ভাই গুরুতর আহত।
সূত্রে জানাযায়, স্বশস্ত্র বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুক্তিপণের লক্ষ্যে এক বসতবাড়িতে ঢুকে উক্ত বাড়ির লোকজনের সোর-চিৎকারে অপহরণ করতে ব্যর্থ হলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে
তাদের ছোড়া গুলিতে একই পরিবারের তিন সহোদর গুলিবিদ্ধ হয়।
এরপর ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত তিন ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত তিন ভাই্য়ের মধ্যে দুই ভাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবী ৩০ জুন (বুধবার) ভোর রাতের দিকে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা ডাকাত হাশিম উল্লাহ গ্রুপের লিডার হাশিম উল্লাহ এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী গোলাম নবীর পুত্র আব্দুর রহমান প্রকাশ বেজির নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ডাকাত আবু তাহের, নুরু, ফজল হক ও জনৈক শুক্কুরসহ ১০/১৫ জনের একটি স্বশস্ত্র দল দেশীয় তৈরী অস্ত্র,স্বস্ত্র নিয়ে উক্ত ক্যাম্প এলাকার হাবিবুর রহমানের বসতবাড়িতে এসে প্রথমে দরজা খুলতে বলে। তখন বাড়ির লোকজন সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মুঠোফোনে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনকে ডাকাডাকি করতে থাকে। দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা ক্ষুদ্ধ হয়ে দরজা কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের শৌর-চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন জড়ো হয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে আসলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
তাদের ছোঁড়া গুলিতে বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমানের পুত্র রহমত উল্লাহ (২৬), ছালামত উল্লাহ (২৪) এবং মো. হাসান (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এগিয়ে আসা লোকজনে শোর-চিৎকার শুরু করলে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দমদমিয়া নেচার পার্ক সংলগ্ন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দমদমিয়া নেচারপার্ক সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত বেশ কয়েক জন স্থানীয় ব্যাক্তি অভিমত প্রকাশ করে জানান, টেকনাফে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। মাদক ব্যবসা , অপহরণ, ধর্ষনসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছেনা। তারা মাঝে মাঝে নিজেদের আদিপত্য বিস্তার নিয়েও গুলি বিনিময়ের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে।
এই সমস্ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলায় বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে যৌথ অভিযান পরিচালনা করার জোর দাবী জানান উক্ত ব্যাক্তিরা।
এদিকে ভোর রাতের সংঘটিত ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে টেকনাফ মডেল থানার দায়িত্বরত (ওসি) হাফিজুর রহমান’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এবং ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।###
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-