নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় বখাটের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মো: মোরশেদ কামাল (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার ছলিমের দোকানের সামনে কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর তাৎক্ষণিক মুহর্তে হত্যাকান্ডটির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও সময় যত গড়াচ্ছে হত্যার কারণ ও সন্দেহভাজন জড়িতদের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে হত্যাকান্ডটি কথা কাটাকাটির জের ধরে বলা হলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে বেশ কিছু চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিহত মোরশেদের পরিবারের দাবী- এলাকার চিহ্নিত বখাটে কফিল উদ্দিনকে ভাড়া করে মোরশেদকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। মোরশেদের সাথে কফিলের ইতিপূর্বে কোনো লেনদেন ছিলো না, চেনা জানা পরিচয়ও ছিলো না। সেহেতু মোরশেদের সাথে কফিলের ঝগড়া দেওয়া বা হাতাহাতি করার মতোও নূন্যতম কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
নিহতের পরিবার আরও দাবী করেন- মুরশেদের সাথে স্থানীয় মৃত ফজল আহমদের পুত্র স্কুলের দপ্তরী নুরুল হকের (৫০) সাথে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিলো। এই ঘটনায় গত ১০/১২ দিন আগে নুরুল হক ও তার ভাই যথাক্রমে আমানুল হক আনু, এহেসানুল হক ও সৈয়দুল হক পুতু সহ তারা ৪ ভাই মিলে মোরশেদকে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছে দপ্তরী নুরুল হক ও তার অপরাপর ভাইয়েরা মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। একাজে তারা বখাটে খুনি কফিলকে ভাড়া করে এনে ব্যবহার করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে- সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন ইউপি সদস্যের ইশারায় এই ছেলে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই জনপ্রতিনিধিই ঘাটপাড়া-কোনারপাড়া এলাকায় যত অপকর্মের মূল। তার ছত্রছায়ায় এবং ইন্ধনে কফিলের নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাংটি এতোদিন লালিত পালিত হয়ে আসছে। জনপ্রতিনিধির সহযোগীতা থাকায় তাদের প্রতিরোধ করার সাহসও কেউ করতে পারেনি।
যদিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজান নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ওই দিন বিকালের দিকে কোনার পাড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী ফরিদের ছেলে কফিল উদ্দিন নামে এক বখাটের সাথে মোরশেদ কামালের কথা কাটাকাটি হয়। একে অপরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলায় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদকে ছুরিকাঘাত করে কপিল। এতে তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনির উল গীয়াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- এখনও পর্যন্ত ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে হয়নি। তবে পুলিশ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখছে। এধরণের কোনো কিছু পরিলক্ষিত হলে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। এবং নিরীহ কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-