পেকুয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •

কক্সবাজারের পেকুয়ায় যৌতুকের টাকার জন্য তিন মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মর্জিনা আক্তার (২০) নতুনঘোনা এলাকার দিদারুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের সংসারে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ লাবীব নামে পনের মাস বয়সী এক শিশু ছেলে রয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে পেকুয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সকাল ১১ টার দিকে স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। দিদার নতুনঘোনা এলাকার মামুনুল হকের ছেলে।

নিহতের মর্জিনার পিতা আশরাফ আলী বলেন, তিনদিন আগে মর্জিনা বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায় মর্জিনা। রাত ১২টার দিকে মেয়ের জামাই দিদার মর্জিনা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে বলে মুঠোফোনে জানায়। পরপরই গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়েও ফেনা বের হচ্ছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। মর্জিনার পিতার দাবী যৌতুকের টাকার জন্যই আমার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেছে শশুড় বাড়ির লোকজন।

মর্জিনার মা শফিকা বেগম জানায়, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও শ্বাশুড়ি। মেয়ের সুখের জন্য কয়েকদফা টাকাও দিয়েছি। কয়েক মাস আগে মেয়েকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী ও পনের মাস বয়সী ছেলে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়। এ সময় মর্জিনার স্বামী দিদার ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দেয়ায় রাতেই আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছেন তারা।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী দিদারুল ইসলাম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ##

আরও খবর