স্পোর্টস ডেস্ক •
কোপা আমেরিকায় শুরুটা হতাশাজনক ছিল আর্জেন্টিনার। মেসির গোলের পরও চিলির সঙ্গে তারা ড্র করেছিল ১-১ গোলে। উরুগুয়ের বিপক্ষে এবার আর জয় বঞ্চিত হয়নি আলবিসেলেস্তেরা। সেই মেসির ঝলকেই উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে আর্জেন্টিনা।
কোপার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল উরুগুয়ে শিরোপা জিতেছে ১৫টি। এই আসরে তারা প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আজকেই। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বরং প্রান্ত দিয়ে তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন আকুইনা ও নিকোলাস গনসালেজ। অবশ্য সর্বশেষ ৪ ম্যাচেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না উরুগুয়ের। দুই দলের লড়াইয়ে তারা জয় পায়নি একটিও। মেসিদের বিপক্ষে তাদের সর্বশেষ জয়টা ২০১৩ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে।
মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে চিলির সঙ্গে ১-১ ড্র করা দলটি থেকে চার পরিবর্তন আনেন আর্জেন্টিনা কোচ স্ক্যালোনি। মন্তিয়েল, মার্তিনেজ ও তাগলিয়াফিকোর বদলে ডিফেন্সে আসেন আকুইনা, রোমেরো ও মলিনা। পেরেদেসের বদলে মিডফিল্ডে আসেন গুইদো রদ্রিগেজ। এই পরিবর্তন কাজে দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। তুলনামূলক রক্ষণটা ছিল গোছানো। এর ফলে সুয়ারেজ-কাভানিরা সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
বরং শুরু থেকে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে থাকে মেসির দল। ৪ মিনিটে সুযোগ তৈরি করলেও আকুইনা বল মেরে বসেন সরাসরি গোলকিপারের হাতে।
দারুণ কিছু সুযোগ তৈরির পর ১৩ মিনিটে আর হতাশ করেননি মেসি। তার বানিয়ে দেওয়া বলেই আসে প্রথম গোল। স্কোর করেন গুইদো রদ্রিগেজ। দি পলের ছোট করে নেওয়া কর্নার কিকে বল পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তিনি বক্সের কাছে উরুগুয়ের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বল। হেড করে জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি রদ্রিগেজ।
মেসি পুরো ম্যাচেই ঝলক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। নেতৃত্ব দিয়ে বার বার স্বভাসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আক্রমণে গিয়েছিলেন, না হলে সতীর্থদের দিয়ে চেষ্টা করিয়েছেন। যেমনটি করেছিলেন ২৭ মিনিটে। কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে দৌড় দিয়েছিলেন মেসি। বক্সের কাছে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর বল তুলে দেন ডান প্রান্তে দৌড়ে আসে মোলিনার। কিন্তু আর্জেন্টাইন রাইট ব্যাকের দ্রুত গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন উরুগুয়ে গোলকিপার। ৪৩ মিনিটে ফ্রি কিকের পর উরুগুয়ের গোলের সুযোগ তৈরি হলেও বল লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে মেরে বসেন বেন্তাকুর।
পুরো ম্যাচে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি সুয়ারেজ। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি এরিয়ার কাছে সতীর্থের ক্রস পেয়ে বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যের ওপর দিয়ে মেরে বসেন বল।
৮০ মিনিটে আবারও আক্রমণে ছিলেন মেসি। ৪ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সেখানেই ফেলে দেন ডিয়েগো গদিন। শেষ দিকে ব্যবধানে আর হেরফের না হওয়ায় ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মেসির দল।
এদিকে একই গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে জয়ে ফিরেছে চিলিও। বলিভিয়াকে তারা হারিয়েছে ১-০ গোলে। এর ফলে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষে থাকা দুটি দলেরই সমান ৪ পয়েন্ট।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-