দেশের দক্ষিণ সীমান্ত টেকনাফে নিজে এক মাত্র বড় সাংবাদিক দাবিদার তার কাজই হচ্ছে শুধু কার স্বজন কোথায় কি নিয়ে ধরা পরছে শুধু সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করা। যদিও অনেক সময় ফেসবুক লিখনি নিয়ে হেও করে সমালোচনা করেন তিনি।
শুধু এসব নিয়ে লিখালিখি কেন তার? প্রতিদিন তো কেউ না কেউ আটক হন এ নিয়ে লিখে না কেন? হয়তোবা বাকিদের কাছ থেকে মাসোহারা পায়! যদিও জনশ্রুতি রয়েছে শীর্ষ ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকে মাসোহারা নেন। তার ব্যাংক হিসাব তলব করলে প্রমাণ বেরিয়ে আসবে? ভাই ব্রাদার কাকা-কাকি কোথায় কার বোটে ইয়াবা ধরা পরেছে, সেটি টেনে এনে ইয়াবা কারবারি বানানোর চেষ্টায় লেগে আছে। মনে হয় পৈত্রিক সূত্রে রাজাকার আমল থেকে এটি টেন্ডার পাওয়া কাজ তার। যারা অপরাধ করবেই তারা একদিন না একদিন আইনের কাছে ধরা পরবে সেটা স্বাভাবিক। এখানে কেউ পাহারা দিয়ে রাখার সুযোগ নেই। আর কেউ আইনে উর্ধ্বে নই..
সর্ম্পকের টানাপোড়ন :
এক সঙ্গে ৭-৮ বছর ধরে একই অফিসে বসে একই সংগঠনের ছিলাম। তখন তার এসব গল্প কাহিনী কই ছিল? মূলত প্রতিদিন এই মহা সাংবাদিককে নিউজ না দেয়ার কারনে সম্পর্ক ইতি টানে তখন। বিষয়টি নিয়ে আরো অনেক কাহিনী আছে সেটি আমার কয়েকজন সহকর্মীরাও জানেন। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। সেই থেকে ক্ষুদ্ধ হয়ে সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার অব্যাহত রাখে তারা। আমি কেমন সাংবাদিকতা করছি সেটি গুটা দেশ জানে, জানে গুটা কক্সবাজার সাংবাদিক ভাইয়েরা। তোর মত কপি, কাট ও পেষ্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকার লোক আমি না। মজার ব্যাপার একটি সামন্য এনজিওর ট্রেনিংএ পরীক্ষার্থীদের সবচেয়ে কম নাম্বার পাওয়া লোক তুই আর সেখান সুযোগ না পাওয়া দালাল? আমার স্বচ্ছতা ও মাঠ পর্যায়ে কাজের দক্ষতার পুরুস্কার হিসেবে প্রতিষ্টান আমাকে তিন বার সেরা প্রতিবেদক হিসেবে স্বৃকীতি দিয়েছে। অন্য এক প্রতিষ্টান থেকে আরো ৫ মাস সেরা প্রতিবেদক নির্বাচিত হয়েছি। অফিসে কপির প্যাকেটের সাথে মোরব্বা পাঠানোর পর এসব পুরুস্কার পেয়েছি এমনটা না?
নিউজ দেয়া বন্ধের পর ক্ষুদ্ধ:
মুলত রোহিঙ্গা নিউজের কারনে সম্পর্কতা ইতি টানে তার সঙ্গে। কারন আমি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাজ করা সুবাদে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েস ভেলে বাংলা, বিবিসি ইউকে রেডিও ফ্রি এশিয়া বেনার,
বিবিসি ডটকম বাংলা, এএফপি’ ও স্কাই নিউজ মত আন্তজার্তিক মিডিয়ায় কাজ করা সুযোগ হয়েছে আমার। আর তাদের এসব ওয়াবসাইট যেতে আলাদা করে কোর্স অথবা আবদুল আলী এর মত মোবাইল মাস্টারকে খোঁজতে হবে। বিদেশি এসব মিডিয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাদা কাজ করেছি এতে আমার ইনকামও হতো। তবে শর্ত ছিল তাদের জন্য তৈরী করা নিউজ অন্য কোথাও প্রচার করা যাবে না। সেই সুবাদে নিউজ দেয়ার সুযোগ ছিল না তাকে। তখন থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পরে লাগে।
এমনকি আমার কাছ থেকে নিয়ে টেকনাফের নিউজ গুলো আমার জেলা প্রতিনিধিকে ‘পাচার’ করতো আমাকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষ্যে। বর্তমানে দুটিতে বিদেশি মিডিয়াতে কর্মরত রয়েছি। নাম বলছি না, কারনে তারা আবার নামে বেনামে দরখাস্ত মারার খুব ওস্তাদ? একটি আশ্চর্যের বিষয় হলো বিদেশি এসব মিডিয়া তাদের কাছে আন্তজার্তিক মিডিয়া মনে হয় না? কোন জঙ্গলে বসতি করে কে জানে? জানবে কেমনে যাদের এখনো একটা নিউজ লিখতে ৮-১০টি ওয়াবসাইট খুলে রাখতে হয়, যার এখনো মুখে ফিস্ ফিস্ করে বলে বলে লিখতে হয়, তারাও নিজেদের বড়ো সাংবাদিক ও নেতা দাবি করে, একটু লজ্বা হয়না? লজ্বা না হওয়ার কথা বিবেকহীন মানুষের কি আবার লজ্বা? হুম আমি খারাপ, তব্র যে যায় বলুক “আমি মুক্তিযোদ্ধার নাতি আমার বাবা ‘রাজাকার’ না আমি রাজাকারের ছেলে নই” এটা আমার কাছে বড় কিছু।
সুতরাং, তার দুই খালাতো ভাই শীর্ষ মানব পাচারকারী বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে, আরেক ভাই গাঁজা মদ বিক্রি করে রাতে আসর বসায় এবং ধর্ষন মামলার আসামিও, মৃত ভাইয়ের কথা নাই বা বললাম, দুজন স্বজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি হিসবে আত্মসমর্পন করেছে, অন্য একজনের নাম হুন্ডির তালিকায় আছে। এসব প্রমাণ দেবার সময় আমার কাছে নেই। মুল কথা হচ্ছে তার বিরোদ্ধে স্টাম্প মূলে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তৈয়ুব নামে এক ব্যক্তিকে ভূয়া নামজারি করে দেয়া।
এটা খুব ইন্টারেস্টিন ঘটনা। লম্বা কাহিনী পরে বলুম! এখন সব হারিয়ে মানুষের ধারে ধারে বিচার প্রার্থনা করছে সে। আদৌ কি এর বিচার পাবে তৈয়ুব? আর ছয় লাখ টাকায় মামলা থেকে বাদ দেয়া নামে গুজব ছড়ানো দালাল হত্যাকারী ল্যাপটেপ ওপেন করতে না জানা কথিত সাংবাদিক নুরুল হোসাইন মেজর সিনহা হত্যার পর তার কুর্কম দেশবাসি প্রমাণ পেয়েছে। ক্রসফায়ার নামে লাখ টাকা নেয়া বেকায়দায় পরে টাকা বমি করা, ঘুষ নেওয়ার অডিও ফাঁস সহ অনেক অভিযোগ তার বিরোদ্ধে। এমনকি ঘুষ না পেয়ে ক্রসফায়ার দেয়ার হত্যার অভিযোগে একটি মামলাও রয়েছে। আবার সেও বড়ো সাংবাদিক নেতা দাবি করে।
এ দালালের বিষয়ে আরো বেশি কিছু জানতে সহকর্মী খান মাহমুদ ও রহমত উল্লাহ’র পূর্বেকার বস্তুনিষ্ট রিপোর্ট গুলো পড়তে পারেন। দালাল হওয়ার সুবাদে তাদের একটি পুরনো অভ্যাস রয়েছে- মামলা থেকে বাদ দেয়া বা মামলায় ঢুকানো আর তালিকা থেকে বাদ, তালিকা ঢুকিয়ে দেয়ার মেশিন থাকার দাবি রাখতে পারেন তারা। কেননা হঠাৎ একদিন একটি মেইলে আনা একটি তালিকায় নিয়ে সবাই দৌড়ঝাপ শুরু করে দ্বীপ প্লাজায় দ্বিতীয় তলায়। তখন আমিসহ অনেক সহকর্মী সোখানে ছিলাম। এরপর আমাকে অবাক করে একে একে নাম কাটা আর নতুন নাম যোগ করতে লাগলেন। এমনকি অনেক সংবাদকর্মীদের নাম যোগ করতে দেখে আমি হতবাক। পরে বিষয়টি আমার উপস্থিতি দেখে কাটা ছিড়া বন্ধ করে দেয়। এটি আমার মনগড়া কথা না, প্রয়োজনে সহকর্মী মো. শাহীন ও আব্দুল আলী সহ অনেকের কাছে জেনে নিতে পারেন। এতেই প্রমাণিত সাংবাদিকদের কোনঠাসা করতে তারা তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেয়।
এতে করে তালিকায় ভুল মানুষের নাম আসে এবং পৌর কাউন্সিলর আ’লীগের ত্যাগী নেতা একরামুল হকের মত নিরহ মানুষ মারা যাচ্ছেন। সীমান্তের সকল সাংবাদিকসহ পরিবারের সম্পদ বিবরণের আয়-ব্যয় হিসাব নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। এতে পরিস্কার হবে অবৈধ ইনকামের টাকায় ঢাকা শহর সহ বিভিন্ন জায়গায় কারা বাড়ি, গাড়ী জমি-জামা এবং প্লাট কিনেছেন। আর ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ হাদিয়া হিসেবে ক্যামরা ও ল্যপটেপসহ বড় উপহার নিয়েছেন এবং বিকাশ আর ব্যাংক একাউন্টে গুনে গুনে কে কত জমিয়েছেন। আর থানায় কোন সাংবাদিকের জন্য ঘুষ দাবির অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তা ডিজি করেছেন কেউ জানেন?
কার নিকট স্বজন মিয়ানমারের এবং কার কত সম্পদ সেটি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি সরকারের কাছে। কথায় আছে নাচঁতে না জানলে উঠান বাঁকা। কোন সাংবাদিক যদি ভাল জায়গায় পৌছলে তাদের গাঁ জ্বলে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-