গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফের নাফনদে নৌকা ডুবির ঘটনায় একই পরিবারের দুই শিশুনহ তিন রোহিঙ্গার মারা গেছে। স্থানীয়দের সহযোগীতা মারা যাওয়া তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১২ জুন (শনিবার) সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার এলাকার নাফনদীর কিনারা থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পের সমজিদা বেগম ও তার মেয়ে নুর শহিদা এবং রশিদা।
ঘটে যাওয়া ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, নাফনদী থেকে দুই শিশুসহ এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা কি মিয়ানমারে যাচ্ছিল,
নাকি সেদেশ থেকে বাংলাদেশে আসছিল বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। নৌকাতে কতজন রোহিঙ্গা ছিল সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। এদিকে উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজারে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানাযায়,
সম্প্রতি একটি দালাল চক্রের হাত ধরে নৌকা যোগে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পারাপার হচ্ছে।
সেই সূত্র ধরে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালাল চক্রের সহযোগীতায় জানে আলম নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে মিয়ানমারে স্বজনদের কাছে যাচ্ছিল। এসময় ঝড়ে নৌকাটি ডুবে গিয়ে তিন রোহিঙ্গা মারা যায়। হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, নাফনদীর তীরে তিন রোহিঙ্গার মরদেহ ভেসে আসার খবর পাওয়ার পর তথ্য নিয়ে জানতে পারি মিয়ানমারে যাওয়ার পথে নাফনদীতে রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি পুলিশকে অবিহিত করলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় জনগনের সহযোগীতায় ভাসমান অবস্থায় ২শিশুসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো ডুবে যাওয়া নৌকাতে আরো রোহিঙ্গা রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘নাফনদীতে ভেসে আসার তিন শিশুসহ তিন রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেছে। কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তার আসল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-