কক্সবাজারে করোনায় এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যু

কক্সবাজারে ২৫০ শয্যার সরকারি সদর হাসপাতালে গত ৩ দিনে এক রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। সবশেষ ১ জুন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৭৮ জনের। তার মধ্যে রোহিঙ্গাই ৩৬ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪১৯ জনের। করোনায় মারা গেছেন ১১২ জন। হোম আইসোলেশনে ৭৯৩ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ৩৯৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে ২৪১ জনই রোহিঙ্গা। ফলে সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পুরো জেলাকে রেড জোন ঘোষণার দাবি উঠছে।

নতুন শনাক্ত ও মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইদানীং সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা শিবিরসহ পুরো জেলায় কঠোর লকডাউন দরকার।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা থাকত ৩ থেকে ৫ জনের মধ্যে। এখন দৈনিক ১১০ জনের বেশিও শনাক্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

অনুপম বড়ুয়া বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। কাজের জন্য রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছে, আবার ফিরে আসছে। এ ছাড়া শরণার্থীদের মানবিক সেবায় যুক্ত এনজিও কর্মীরা প্রতিদিন ক্যাম্পে যাওয়া–আসা করছেন।

অনুপম বড়ুয়া আরও বলেন, এনজিও কর্মীদের অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে (কক্সবাজারের বাইরের জেলায়) গিয়েছেন, এখন ফিরে এসে ক্যাম্পে যাতায়াত করছেন। তাঁদের কারও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধ করতে হলে উখিয়া ও টেকনাফের পাশাপাশি ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে পৃথক রেড জোন ঘোষণা করা দরকার।

সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমানও বলেন, সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া ও টেকনাফ রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন দেওয়া জরুরি। না হলে পুরো জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। /প্রথম আলো

আরও খবর