এম.এ আজিজ রাসেল •
রামুতে সাইফুল ইসলাম (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত সাইফুল জোয়ারিয়ানালা নন্দাখালী উত্তরপাড়ার মো. নুরুচ্ছফার পুত্র। সে উল্টাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। এই ঘটনায় ঘাতক ফেরদৌসকে আটক করেছে রামু থানা পুলিশ। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পিতা মো. নুরুচ্ছফা জানান, রবিবার রাতে তারাবির নামাজের পর ঘাতক ফেরদৌস আমার ছেলের খোঁজ নেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে তার পোল্টি্র ফার্মে কাজ করার জন্য জানানো হয়।
পরদিন সোমবার সকাল ৮টায় সে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে ফেরদৌসের বাড়ি থেকে আমার ছেলে সাইফুলের আর্তচিৎকার আসলে এলাকাবাসী গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আমাকে খবর দেয়।
এসময় হত্যাকারী ফেরদৌসসহ তার স্ত্রী কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলে সাইফুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকাল ৪টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চিকিৎসক জানান, তার হাতের চারটি আঙ্গুল ও গাড় ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। তার শরীরে নির্মমভাবে পেটানোর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে রাত ৮টার দিকে ঘাতক ফেরদৌস এলাকা ছেড়ে পালানোকালে রামু থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
অভিযোগ রয়েছে হত্যাকারী ফেরদৌসকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি জোর তদবির করছেন।
এ ব্যাপারে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান বলেন, সাইফুল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। অভিযুক্ত ফেরদৌসের পোল্টি্র ফার্মে সে কাজ করতো। সেখানে কি তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি কাজ করতে গিয়ে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য বের করা হবে। তদন্তে কেউ অপরাধী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ফার্মে শিশুদের নিয়ে কাজ করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-