ওমর ফারুক •
কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকায় নিজ স্ত্রী কে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ছালামত উল্লাহ (৩০) নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পারভীন আক্তার নামের এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর ৩ বছর আগে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবক অভিযুক্ত ছালামত উল্লাহর নামে বিয়ে হয়। যদিও দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক ও বিবাহ মেনে না নেয়ার ফলে পারভীন আক্তারের সাথে শহরের অন্যত্রে ৩ বছর আগে সংসার শুরু করে ছালামত উল্লাহ।
তবে বিয়ের পর বছর যেতেই বাদে এক বিপত্তি। অজ্ঞাত এক কারণে পারভীন আক্তার কে সর্বদা এড়িয়ে যেতে থাকে স্বামী ছালামত উল্লাহ। যার ফলে দীর্ঘদিনের সংসারে পারভীন আক্তার বিয়ের এক বছর পর সন্তানসম্ভবা হলে স্বামী ছালামত উল্লাহর বিভিন্ন অজুহাতে ডাক্তারের সাহায্য বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য হয় এমনকি বাচ্চা নষ্ট বা করলে পারভীন আক্তারের সাথে সংসার করবেনা বলেও হুমকি প্রদান করে।
পারভীন আক্তার আরও জানায়, তাদের সংসারে প্রায়সময় দুইজনের মনোমালিন্য হওয়ায় পারভীন আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করত।
এছাড়া তার স্বামী তার পরিবারের সাথে যোগসাজশ করতে থাকে যার ফলে পারভীন আক্তার জানতে পারে স্বামী ছালামত উল্লাহ তার স্ত্রী কে না জানিয়ে ২য় আরেকটি বিয়ে করে। যা ১ম স্ত্রী থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।
খবর পেয়ে পারভীন আক্তার গত ১৫ তারিখ সকাল ১০টায় শ্বশুরবাড়ি গেলে স্বামী ছালামত উল্লাহ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পারভীন আক্তারকে বেঢ়দকভাবে শারীরিক নির্যাতন করলে বিভিন্ন আঘাতে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে প্রশাসনের সাহায্য চাইলে তাৎক্ষণিক সদর থানার পুলিশের একটি টিম এসে পারভীন আক্তারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এই ঘটনায় পারভীন আক্তার স্বামী ছালামত উল্লাহ সহ ৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ করে।
এব্যাপারে সদর থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা এখন পর্যন্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্তের ভিত্তিতে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-