উখিয়ায় লকডাউনের কথা বলে সিএনজির বাড়তি ভাড়া আদায়

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •

উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সেনাবাহিনীর চেকপোষ্টে দীর্ঘ যানজট।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পরার জন্য বার বার সচেতন করা হচ্ছে। এমনকি বার বার মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উখিয়া থেকে বালুখালী পর্যন্ত যেতে দুই সিটে একজন হিসেবে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন।

উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সেনাবাহিনীর চেক পোষ্ট থাকায় চালকরা তা মেনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে যাত্রী নিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া সাত দিনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১ম দিনে সিএনজি চালককে দিতে হয়েছে জরিমানা। ২য় দিন থেকে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে। ১ম ও ২য় দিন প্রশাসনের কড়াকড়ি ছিল। ৩য় দিনেও সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। উখিয়া থেকে বালুখালী পর্যন্ত জন প্রতি সিএনজি ভাড়া ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এখন জন প্রতি আদায় করছে ৮০ টাকা। উখিয়া থেকে কুতুপালং জনপ্রতি ছিল ১০ টাকা। এর পর নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। এখন করোনা ও লকডাউনের কথা বলে নেয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এমনই অভিযোগ করেছেন এন কবির মাহমুদ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবতার সেবায় নিযোজিত হাজার হাজার এনজিও কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়।

ক্যাম্প এলাকাসহ উখিয়া কোটবাজার বিশেষ করে উখিয়া ডিগ্রী কলেজের সেনাবাহিনীর চেক পোষ্ট এবং তুতুপালং ও বালুখালীসহ বেশ কয়েকটি চিহ্নিত এলাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিসহ নানা কাজেবের হওয়া মানুষকে দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে।

বিধিনিষেধের মধ্যেও মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে বাজারে এবং যার যার কাজে বেরিয়ে পড়ছে। মানছে না সরকারের বিধিনিষেধ।

উখিয়া সদর ষ্টেশনে সকাল ১০ টায় কামাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনুছ বালুখালী ক্যাম্পে যাওয়ার জন্যে রাস্তায় দাঁড়ান। আগে রিজার্ভ সিএনজিতে ২০০ টাকা ভাড়ায় বালুখালীতে যেতেন। আজ তাদের কাছে চালক ৪০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন। তাও দুজনের অধিক নিতে নারাজ। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করেন মুমিনা আক্তার ও ফারজানা। তারা দুজনই বলেন, তারা প্রতিদিন সিএনজি করে ক্যাম্পে যাতায়াত করে থাকেন। তাদের এনজিও অফিসের পক্ষ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। উখিয়া ডাকবাংলো ষ্টেশন থেকে কুতুপালং যেতে তাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

প্রতিবাদ করলে উল্টো নানান কথা শুনতে হয়েছে আমাদের। উখিয়া সহকার কমিশনার ভূমি আমিমুল এহসান খান বলেন, নাগরিকেরা যাতে বিধিনিষেধ মেনে চলেন সে জন্য প্রথম দিন থেকে উপজেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছেন।

আরও খবর