কালবৈশাখী তাণ্ডবে সারাদেশে প্রাণ গেল ১১ জনের

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি বয়ে গেছে। কোন কোন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। এই তাণ্ডবে সারাদেশে নিহত হয়েছেন ১১ জন।

রোববার (৪ এপ্রিল) কালবৈশাখী ঝাড়ে ওই ১১ জন মারা যায়।

গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৩ নারী ও ১ শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বেলা ৩টার দিকে গাইবান্ধার সদর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাদুল্লাপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তাফুর গ্রামের গোফফার রহমান এবং ডাকেরপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম। ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী আক্তার (২৭)। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দোয়ারা গ্রামের ছোলায়মান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৪০)। সাদুল্লাপুর উপজেলায় আব্দুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যক্তি ঝড়ের আতঙ্কে মারা গেছেন।

অন্যদিকে ঝড়ে আহত হওয়ার পর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর পথে তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলেন সদর উপজেলার তিনগাছের তল এলাকার হিরু মিয়ার শিশুসন্তান মনির মিয়া (৫) আর ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি গ্রামের হারিস উদ্দিন (৩৫)।

অন্যদিকে ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মো. জাহিদের স্ত্রী হালিমা (২৫) তার এক বছর চার মাস বয়সী শিশুকন্যা আফছানাকে নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ভ্যানযোগে তার বাবার বাড়ি বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে পৌঁছালে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় সজনে গাছের একটি বড় ডাল তাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই হালিমা মারা যান। মারাত্মক আহত শিশু আফছানাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নির্মাণাধীন দোকানঘরের উড়ন্ত টিনে গলা কেটে রবিউল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের মহিশাডরা এলাকার দফাদার ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের শশিধরপুর এলাকার সাদ মন্ডলের বড় ছেলে। রবিউল পেঁয়াজের ব্যবসা করতেন। তিনি ৩ মেয়ে সন্তানের বাবা।

-আরটিভি

আরও খবর