ঘুষ লেনদেনের সাড়ে ৬ লাখ টাকা উদ্ধার

চকরিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারসহ আটক ২

এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া •

কক্সবাজারের চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানের ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান ও মোহরার দুর্জয় কান্তি পাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ঘুষ লেনদেনের ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সময় শ্যামল বড়ুয়া নামের অপর এক অফিস সহকারী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (২ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত একটানা এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর উপজেলার উত্তর নাড়ি বাড়ি এলাকার মোজাম্মেল হকের এবং মোহরার দুর্জয় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল এলাকার মধুরামের ছেলে। এছাড়া পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়–য়া কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়া এলাকার দীনবন্ধুর ছেলে।

দুদক এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জমির দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে ঘুষের লেনদেনের বিষয় নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম কার্যালয়য়ের কর্মকর্তারা অভিযানে নামেন। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রশিদ আহমদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নাম ব্যবহার করে এক কর্মচারী ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। ফলে দুদক কর্মকর্তারা অভিযানের সময় ভুক্তভোগী এ অভিযোগকারী সেবা গ্রহীতাকে সাথে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযানে নামেন। এ সময় অফিস সহকারী শ্যামল বড়–য়া ও মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের টেবিলের ড্রয়ারে তল্লাসী চালিয়ে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানের টেবিল ড্রয়ার তল্লাসী করে এক লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পৃথক তল্লাসীকালে তিনজনের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করে পরে এসব টাকা জব্দ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, দুদকের অভিযানে জব্দকৃত এসব টাকার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠরা কোন কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় এসব টাকা ঘুষ লেনদেনের টাকা হিসেবেই প্রতীয়মান হয়েছে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রারসহ তিনজনকে আসামী করে ঘুষ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। #####

আরও খবর