নিজস্ব প্রতিবেদক •
‘বর্তমান সময়ে তথ্য সবচেয়ে বড় শক্তি। অডিও, ভিডিওসহ নানা মাধ্যমে এই তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। তবে অডিও মিডিয়ার সাথে ভিডিও মিডিয়ার যে দ্বন্দ্ব তা কমিয়ে আনতে পারলে ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভুল তথ্য দেওয়া হয় সেটি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত অডিও ফেস্টিভ্যালে এসব কথা বলেন অতিথিরা।
গত রবিবার প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের একটি হোটেলের মিলনায়তনে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। “শেইপিং লাইভস থ্রো পিপলস ভয়েসেস” স্লোগানে ডয়েচে ভেলে একাডেমির সহযোগিতায় এই অডিও ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে ইপসা।
বিকেল চারটায় এই অডিও ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আমানুর রহমান খান।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইপসার আঞ্চলিক প্রধান ও উপপরিচালক খালেদা বেগম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউনিসেফ কক্সবাজারের সি ফোর ডি অফিসার মৌসুমী ত্রিপুরা, একলাব-রেডিও নাফের হেড অব অপারেশন মোঃ রাশিদুল হাসান ও ডয়েচে ভেলে একাডেমির কো-প্রজেক্ট ম্যানেজার মাফিয়া মুক্তা।
ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার জিশু বড়ুয়া।
আমানুর রহমান খান বলেন, বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। আধুনিক এই যুগেও বেতারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। করোনাকালে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা তৈরীতে কাজ করে গেছে বেতার।
কক্সবাজারের প্রেক্ষাপটে বেতারের গুরুত্ব আরও বেশী। এখানে বেতারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাগুলো।
উদ্বোধনী আয়োজন শেষে মেলার স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিরা। দর্শনার্থীরা এ ধরণের আয়োজনের প্রশংসা করেন। ফেস্টিভ্যালের মেলায় অংশ নেয় ছয়টি সংস্থা।
রোহিঙ্গা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, বিনোদন, তথ্য সরবরাহসহ নানা ইস্যুতে তৈরীকৃত বিভিন্ন অডিও প্রদর্শন করা হয় এই আয়োজনে।
সন্ধ্যা সাতটায় বসে অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বের আসর। এসময় ইপসা ও ডয়েচে ভেলে একাডেমির দুই দফায় আয়োজিত মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ২১ সংবাদকর্মীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন অতিথিরা।
সমাপনী আয়োজনে ইপসার আঞ্চলিক প্রধান ও উপ-পরিচালক খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো: সহীদ উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুল ইসলাম।
ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি কমিউনিকেশন স্কীলস ডেভেলপমেন্ট ফর সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিহাব জিশান ও ডয়েচে ভেলে একাডেমির কো-প্রজেক্ট ম্যানেজার মাফিয়া মুক্তা।
এসময় অতিথিরা বলেন, “অডিও ফেস্টিভ্যালের মতো ব্যতিক্রমী একটি আয়োজনও যে করা যায় সেটি আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। দারুণ এই আয়োজনটি ভবিষ্যতেও করতে পারলে যারা অডিও নিয়ে কাজ করে তাঁরা উৎসাহিত হবে। ফেসবুক, টুইটারের এই যুগে অডিওকে মানুষের আরও বেশী কওে অডিওর কাছাকাছি নিয়ে যেতে এই ধরণের অডিও ফেস্টিভ্যালের প্রয়োজন। সেই সাথে অডিওর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী এবং দক্ষতা বিকাশে যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলোও চালু রাখা প্রয়োজন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-