নিজস্ব প্রতিবেদক •
মহেশখালীর পৌরসভার বহু বিতর্কিত মেয়র মকসুদ মিয়া ও তার আপন চাচাত ভাই সালাউদ্দিনের সাথে গুলিবিনিময়ের ঘটনাসহ ৬ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রতিপক্ষের লোকজন মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে এখানে। এই ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় প্রায় পুড়ানো অবস্থায় ৩টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। এখনো পর্যন্ত মোটর সাইকেল এবং প্রাইভেট কারের মালিকানা নিয়ে রহস্যজনক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপক্ষের লোক অপরপক্ষ কে দোষারোপ করে যাচ্ছে।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত রবিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে মহেশখালী পৌরসভা সিকদার পাড়া এলাকার সালাহ উদ্দিনের প্রাইভেট কার থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়ছে বলে জানান থানার ওসি আব্দুল হাই। উদ্ধার করা ইয়াবার মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার চাচাত ভাই সালাহ উদ্দিনের সাথে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল,এমন বক্তব্য মিলেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। তার প্রেক্ষিতে দুর্বৃত্তরা গত রাতে সালাউদ্দিনের লোকজনের উপর গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন কাউন্সিলর মিসকাত সিকদার ও সালাউদ্দিন।পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঢাকা একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনার জের ধরে আবারও দুর্বৃত্তরা সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতরাত ২টার দিকে পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ের পাশে গুলাগুলির খবর পেলে ওসি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় মহেশখালী থানা পুলিশ। ঘটনার কিছুক্ষন পর সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজে আগুন লাগে। খবর পেলে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সালাউদ্দিনের পরিবার দাবি করে মেয়র মকসুদ মিয়ার লোকজন এসে আমাদেরকে গুলি ও গ্যারেজে অগ্নিসংযোগ করে।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, এই বিষয়ে ইয়াবার মামলা হয়েছে তবে এখনো গুলাগুলির ঘটনায় মামলায় রুজু হয়নি বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-